বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা মিথ্যাচার করছেন : বিএনপি

25

তালাবদ্ধ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু। একইসাথে তিনি সিটি নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিরও আহবান জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তালাবদ্ধ করেনি; বিএনপিই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে। নেতারা চাইলে অফিসে বসতে পারেন, বাধা দেয়া হবে না। অথচ দেশবাসী জানে, গত ৩ জানুয়ারি বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে অসুস্থ অবস্থায় কার্যালয় থেকে গ্রেফতারের রাতেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মকতা-কর্মচারিসহ অন্যান্যদের বের করে দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।’
বুলু বলেন, ‘আওয়ামী নেতাদের মিথ্যাচারে কিভাবে স্বাধীন দেশের পবিত্র মাতৃভুমিতে অপরাজনীতির খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তা ভাবতেই লজ্জা লাগে।’
তিনি বলেন, ‘মিথ্যাচারেরও একটা সীমা পরিসীমা আছে। কিন্তু পেশী শক্তির মাধ্যমে ৫ জানুয়ারির তামাশার নির্বাচন করে জোর করে দেশ শাসনে বসে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা নির্লজ্জ মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে যেভাবে বক্তব্য বিবৃতি প্রদান করে যাচ্ছে, তাতে জাতি কলঙ্কিতবোধ করছে।’
বুলু বলেন, ‘দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন বক্তব্য দেশবাসীকে ক্রমাগত হতাশ করছে। তিনি প্রশ্ন করেন, যদি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকই হয় তাহলে প্রতিদিন খবরের কাগজে দেশবাসী কি দেখছে? প্রতিদিন হত্যা, গুম, অপহরণের পর অস্বীকার এবং সর্বোপরি জেল কিংবা পুলিশী হেফাজতে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের মৃত্যু কী তাহলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের আলামত ?’
বলু বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হাস্যকর মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করে অথবা গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে গণদাবীর আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বলে আনন্দের ঢেকুর তোলা যতটা সহজ; আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বেষ্টনী ত্যাগ করে জনগণের কাতারে দাড়িয়ে গণদাবিকে পাশকাটা ততটা সহজ নয়। জনগণের ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক দাবি নিয়ে সরকার যেভাবে গোঁয়ার্তুমি করছে, সেটা কোনক্রমেই ক্ষমতাসীন মহল কিংবা দেশ ও জাতির জন্য শুভলক্ষণ নয়।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জাতিকে ভয়াবহ অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা করা। আর তাতে নেতিবাচক পন্থা গ্রহণ করা হলে উদ্ভুত যেকোনো পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন তথা সরকার দায় থেকে অব্যাহতি পাবে না।