তাবিথের ১২ দফা ইশতেহার ঘোষণা

25

দুর্নীতি মুক্ত আদর্শ ও বাসযোগ্য ঢাকা গঠনে ১২ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডের রেগনাম টাওয়ারে এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার করেন তাবিথ।

ইশতেহারে ঘোষিত ১২ দফার মধ্যে রয়েছে- খাদ্য-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষা সেবা নিশ্চিতকরণ, যানজট নিরসন ও যানবাহন সুবিধা, নগর পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, চিত্ত বিনোদন ও জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ, ডিজিটাল সেবা, জননিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, নগর প্রশাসন উন্নয়ন।

যানজট নিরসন ও যানবাহন সুবিধা নিশ্চিতে অত্যাধুনিক কমিউটার ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি দেন তাবিথ আউয়াল। বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহারের কথা বলেন তিনি।

নগর সরকার বাস্তবায়নের পাশপাশি নগরকৃষি চালুরও প্রতিশ্রুতি দেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তাবিথ বলেন, ‘আমি আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের প্রার্থী, ২০-দলীয় জোটের সমর্থন পেয়েছি। আমি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হবো। সুতরাং আমি সরকারের সহযোগিতা পাবো। আর সরকার যদি সহযোগিতা না করে তাহলে নির্বাচনের দরকার কী?’

নাগরিক-বৈষম্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এই সমাজ থেকে কাউকে বিচ্ছিন্ন করতে চাই না। এখানে সবাই একসঙ্গে থাকবে। আমরা চাই ঢাকা একটি বাসযোগ্য নগরী হবে। এখানে সব নাগরিক সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।’

তরুণ এই রাজনীতিক বলেন, ‘সব নাগরিক সমান সুযোগ পায় না। এই কষ্ট মনে নিয়ে আমিও বড় হয়েছি। তাই দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি, আপনাদের সেবা করার জন্য।’

রাজনীতিতে নতুন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি যদি রাজনীতিতে নতুন হই, তাহলে ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাতে কেন আমাকে আটক করা হয়েছিল। সুতরাং আমি রাজনীতে নতুন নই।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি নির্বাচিত মেয়রের প্রধান উদ্দেশ্য থাকবে সিটি গভর্মেন্ট করার। এর আগে যারা ছিলেন তারা উদ্যেগ নিয়েছেন। আমার চেষ্টা থাকবে সরকারের সঙ্গে মতবিনিময় করে সিটি গভর্মেন্ট করা।’

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের’ আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ ও  সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবুল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।