৩০ সেকেন্ডে কিভাবে মিলিয়ন ডলারের পেইন্টিং করা যায়?

98
কিভাবে মিলিয়ন ডলারের পেইন্টিং করা যায়

Facebook-র নির্মাতা Mark Elliot Zuckerberg কে একবার একটা ইন্টারভিউ তে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল –

স্যার আপনি তো রাতারাতি সফল হয়ে গেছেন। এখন এই সম্পর্কে আপনি কি বলতে চান??

তখন মার্ক জুকারবার্গ বলেন- তুমি সত্যি বলেছো। আমি রাতারাতি সফল হয়ে গেছি। কিন্তু ওই রাতটি অনেক লম্বা ছিলো। ওই রাতটি কেবল আমি দেখেছি। আর আমি জানি- সেটা কতোটা বড় ছিল!!

অর্থাৎ বছরের পর বছর তপস্যা করার পরেই নতুন কিছু করা যায়।

আমি জানি- সফলতা একদিনে পাওয়া যায় নাহ। কিন্তু যদি বিশ্বাস করেন ও জেদ করেন তাহলে একদিন অবশ্যই পাওয়া যাবে!!

একটা গল্প আপনাদের বলি। সেটা হচ্ছে গ্রেট পেইন্টার- Pablo Ruiz Picasso ।

আমরা সবাই জানি- পিকাসো এই পৃথিবীর বেস্ট পেইন্টারদের মধ্যে একজন। তিনি একবার নিউইয়র্কের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল আর তখন একটা মেয়ে এসে তাকে দেখে আর এসে বলে- স্যার আমি তো আপনাকে চিনি। আপনি হলেন পিকাসো তাই নাহ??

এরপর দ্রুত মেয়েটি একটা কাগজ বের করে এবং পিকাসোকে দেয় আর বলে- স্যার আপনি অনেক বড় একজন পেইন্টার। প্লিজ আমার জন্য কিছু একটা একে দেবেন??

তখন পিকাসো এই কাগজটি নিয়ে পকেট থেকে একটা পেন্সিল বের করে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে একটি ছবি একে দেয়। আর মেয়েটিকে বলে-

এই নাও এটা তোমার জন্য। আর এই পেইন্টিংটির মূল্য মিলিয়ন ডলার। এরপর মেয়েটি রাস্তায় যেতে যেতে ভাবে- স্যার তো আমাকে বোকা তৈরি করলেন। ৩০ সেকেন্ডে একটা পেন্টিং তৈরি করে বললেন এর মূল্য নাকি মিলিয়ন ডলার। এরপর মেয়েটি দ্রুত গিয়ে ওই পেইন্টিং টির মূল্য জানে। আর সে জেনে অবাক হয়ে যায়- যে সত্যিই ওই পেইন্টিং টির মূল্য মিলিয়ন ডলার!!

তারপর ওই মেয়েটি পিকাসোর ঠিকানা খুজে বের করে আর সেখানে যায় আর বলে- স্যার এই পেইন্টার টা সত্যিই মিলিয়ন ডলারের।

প্লিজ স্যার আমিও শিখতে চাই- ৩০ সেকেন্ডে কিভাবে মিলিয়ন ডলারের পেইন্টিং করা যায়??

আর তখন পিকাসো হেসে বলে- এই ৩০ সেকেন্ডের পেইন্টিং শিখতে আমার ৩০ বছর সময় লেগেছিলো!!

আমি আবারও আপনাদেরকে বলছি- কঠোর তপস্যা করতে হয়, বছরের পর বছর করতে হয়। তারপর নতুন কিছু করা যায়। তাহলেই আপনি সেই জীবন পাবেন যার স্বপ্ন আপনি দেখেন!!