রফিকুল-আমানদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

27

পেট্রোলবোমা বিস্ফোরণ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলায় আসামিরা পলাতক থাকায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা সোমবার তাদের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ মিরপুর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও আমান উল্লাহ আমানসহ ৩৬ জনের ‍বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ ৩৩ জনকে পলাতক দেখানো হয়। এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জনৈক লিটন ব্যাপারীকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি যাদের বিরুদ্ধে হলো- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম-মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরবসহ ৩৩ জন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি দুপুর পৌনে ২টার দিকে মিরপুর মডেল থানা এলাকার সনি সিনেমা হলের সামনের রাস্তায় বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের কর্মীরা ২০ দলীয় ঐক্যজোটের ডাকা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চলমান গাড়িতে পেট্রোলবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং যানবাহনে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় ওই দিনই মিরপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খন্দকার রাজিক আহম্মদ মামলাটি দায়ের করেন।