হার্ট ভালো রাখার উপায়

21

imagesআমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে হৃৎপিণ্ড অন্যতম। এই হৃৎপিণ্ডই সমস্ত দেহকে নিয়ন্ত্রণ করে বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। হৃৎপিণ্ড ভালো থাকলে ভালো থাকে আমাদের শরীর ও মন।
হৃদযন্ত্র শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে দূষিত রক্ত জমা করে রাখে। জমা করা এই রক্ত ফুসফুসে পাঠিয়ে দেয় রক্তনালীর মাধ্যমে। ফুসফুস থেকে বিশুদ্ধ হয়ে এ রক্ত আবার ফিরে আসে আমাদের হৃদয়ে। বিশুদ্ধ রক্ত এরপর চলে যায় মস্তিষ্কে, যকৃত, কিডনিসহ শরীরের সব জায়গায়।

রক্তের মাধ্যমে শরীরের সবখানে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। রক্তের এই চলন সম্ভব হয় হৃদযন্ত্রের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে। শরীরের এই মহাগুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার‌্যক্রম সচল রাখতে তাই চাই শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন যাপন।

‘জার্নাল অব আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি’ তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে, ৯০ শতাংশের অধিক হৃদরোগ প্রতিরোধযোগ্য।

হৃদরোগ প্রতিরোধের নানা উপায়

এক. প্রতিরোধযোগ্য পদক্ষেপের জন্য প্রথমেই আপনার রক্তের এইচ.ডি.এল (ভালো কোলেস্টেরল), এল.ডি.এল (খারাপ কোলেস্টেরল) ট্রাইগ্লিসারাই জেনে নিন।
পাশাপাশি শরীরের ওজন, রক্তচাপ, বি.এস.আই (উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজনের ছক) জেনে নিন।

দুই. আপনার খারাপ কোলেস্টরল জীবন যাপন পরিবর্তনের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব। চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া কমানো ও শরীরের ওজন কমানোর মাধ্যমে যা করা যায়।

তিন. ধূমপান পরিহার করতে হবে। ধূমপান ছেড়ে দেবার সঙ্গে সঙ্গে এর ভালো প্রভাব হার্টে পড়তে থাকে। ধূমপান ছাড়ার এক বছরের মধ্যেই হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যায়। ১০ বছরের মধ্যে যারা জীবনে কখনো ধূমপান করেনি তাদের সমান অবস্থানে চলে আসে।

চার. লবণ কম খেয়ে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে হবে। প্রতিদিন ১ চা চামচের কম লবণ খেতে হবে।

পাঁচ. মাংসের চেয়ে মাছ খাওয়ার আগ্রহ দেখাতে হবে। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ যাতে আছে ওমেগা থ্রি নামে ভালো কোলেস্টরল

ছয়. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন মাঝারি গতিতে হাঁটতে হবে।

সাত. বেশি বেশি হাসুন। হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। যেসব কাজ আপনার মনকে প্রফুল্ল রাখে সেসব কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন।

আট. আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সালাদ রাখুন। এর ফলে শরীর পায় পর‌্যাপ্ত এন্টি-অক্সিডেন্ট যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

নয়. সুখী দাম্পত্য জীবন যাপন ও সামাজিক সংগঠনে যুক্ত থাকুন।