হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা

188

আমার সাথে ঘটে যাওয়া ২৪ মার্চ তারিখের রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতালের একটি ঘটনা যা দেখলে হয়ত কেউ হাসত আবার আফসোসও করত। তা যাই হোক ঘটনাটি নিচে তুলে ধরলাম।

কারও মা মারা গেলেও হয় তো এমন কাঁদে না!!!

আজ আমি আমার নাইট শিফট ডিউটি করার জন্য অফিসে (রেলওয়ে হাসপাতাল ) যাই।

ডিউটি হাজিরা সাক্ষর করে বাইরে আসতে দেখি গেটের বাইরে ভিড় ,আর আমি সেখানে যেতেই দেখি এক ছোট ছেলে কাঁদছে।

আরো কাছে যেয়ে দেখি রাজশাহী রেল স্টেশনের এক পথোশিশু একটি কুকুরের বাচ্চা কোলে নিয়ে কাঁদছে।

তার কাছে শুনতে চাইলাম কি হয়েছে। সে এ কথা শুনেই আরো জোরে কেঁদে উঠে বলে, ভাই আমার এই কুকুরের বাচ্চাটাকে বাঁচান।

আবারো শুনতে চাইলাম কি হয়েছে। সে তখন আরো একবার কুকুরের বাচ্চাটাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে যে ট্রেনে বাচ্চাটার পা কাটা গেছে। ডাক্তারকে আমার এই বাচ্চাটাকে ঠিক করে ড্রেসিং করে ও ঔষধ দিতে বলেন।

অনেকে কুকুরের বাচ্চা বলে হেলা করে তাকে বলে এটা এখানে করা যাবে না পশু হাসপাতালে নিয়ে যা। আর এখান থেকে সরা এটা।

কিন্তু ছেলেটার করুণ কান্না দেখে আমি ড্রেসিং এর কিছু গজ তুলা নিয়ে আসলাম এবং আমি ও আমাদের ওটি (ওপারেরশন থিটোর ) এ্যাসিস্টেন কাকা মিলে ড্রেসিং করে দিলাম।

কখনো কেউ কি এ সব অবহেলিত প্রাণীর কথা চিন্তা করে? কিছু হলে হয় তো মনে মনে ইশ আহ এই ভাবেই আফসোস করি/করেন।

তা যাই হোক, যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে।

আমরা কি জীবের প্রিতি এভাবে সদয় হতে পারি না!

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কত মহত হলে এ কাজটি করা সম্ভব, কে বলতে পারবে?

মোঃ আবদুর রহমানআযান খান: ওয়ার্ড অ্যাটেনডেন্ট, রেলওয়ে হাসপাতাল রাজশাহী