স্বপ্নের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

30

অবশেষে স্বপ্নের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের ১১তম আসরে সপ্তমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলে প্রথমবারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করল কিউইরা।

 

মঙ্গলবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারে খেলা নির্ধারিত হয় ৪৩ ওভারে। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে বৃষ্টি আইনে কিউইদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৮ রান। জবাবে এক বল হাতে থাকতে জয় নিশ্চিত করে ব্লাক ক্যাপসবাহিনী।

 

এদিকে চোকারখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার চোকারই থেকে গেল। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল তারা।

 

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। প্রথম দুই বলে এক রান করে নিলেও তৃতীয় বলে চার মারেন ভেট্টরি। চতুর্থ বলে নেন এক রান। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ইলিয়ট। ৭৩ বলে ৮৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর ভেট্টরি করেন ৭ রান।

 

লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ঝোড়ো সূচনা এনে দেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। প্রকৃতির বৃষ্টিতে ভেজা ইডেন পার্কে চার-ছক্কার বৃষ্টি নামান কিউই অধিনায়ক। মাত্র ২২ বলে ঝোড়ো ফিফটি তুলে নেন তিনি। তবে দলীয় ৭১ রানে মরনে মরকেলের বলে বিদায় নেন ম্যাককালাম। ডেল স্টেইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ২৬ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৯ রান করেন ম্যাককালাম।

 

এরপর স্কোরবোর্ডে আর ১০ রান জমা হতেই বিদায় নেন কেন উইলিয়ামসন (৬)। ওই মরকেলের বলে বোল্ড হন তিনি।

 

তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন মার্টিন গাপটিল ও রস টেলর। তবে দলীয় ১২৮ রানে ইমরান তাহিরের ওভারে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন গাপটিল। ৩৮ বল খেলে তার সংগ্রহ ৩৪ রান।

 

দলীয় ১৪৯ রানে রস টেইলরও ফিরে যান। জেপি ডুমিনির বলে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসবন্দি হন ৩০ রান করা রস টেইলর।

 

এরপর ইলিয়ট ও কোরি অ্যান্ডারসন মারমুখী ব্যাটিং চালিয়ে যান। পূর্ণ করেন শতরানের জুটি। অবশেষে মর্নে মরকেলের বলে অ্যান্ডারসন ক্যাচ তুলে দেন। দুর্দান্ত ক্যাচটি ধরে তাকে মাঠ থেকে বিদায় করে দেন ডি ভিলিয়ার্স। মাঠ ছাড়ার আগে ৫৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৮ রান করেন তিনি।

 

ক্রিজে এসে ৬ বলে ৮ রান করে লুক রঞ্চি বিদায় নিলেও জয়ে নিশ্চিত করেন ইলিয়ট ও ভেট্টরি।

 

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারে দলীয় ২১ রানে টেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন হাশিম আমলা (১০)।

 

অষ্টম ওভারে ফের সেই বোল্টের শিকারে পরিণত হন ডি কক (১৪)। টিম সাউদির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

 

শুরুতে চাপে পড়ে যাওয়া ধীরে ধীরে রানের চাকা ঘুরানোর চেষ্টা করেন ডু প্লেসিস ও রুশো। ২৭তম ওভারে প্রথম বলে কোরি অ্যান্ডারসনের শিকারে পরিণত হন রুশো। ফলে ভেঙে যায় তাদের ৮৩ রানের জুটি। গাপটিলের হাতে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৩৯ রান করেন তিনি।

 

ডু প্লেসিস এর সঙ্গে ক্রিজে এসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন ডি ভিলিয়ার্স। দ্রুত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। কিন্তু ৩৮ ওভারে যখন তাদের দলীয় সংগ্রহ ২১৬ রান, তখন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

 

বৃষ্টির পর ভেজা মাঠে খেলতে এসে কোরি অ্যান্ডারসনের বলে লুক রঞ্চির হাতে ক্যাচ আউট হন ডু প্লেসিস। মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার আগে ১০৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮২ রান করেন তিনি।

 

তবে মাঠে নেমেই তুফান তোলা ব্যাটিং করেন ডেভিড মিলার। ১৮ বলে ৪৯ রান করে অ্যান্ডারসনের শিকারে পরিণত হন তিনি। এবারও ক্যাচ ধরেন রঞ্চি।

 

৪৫ বলে বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ডি ভিলিয়ার্স। তার সঙ্গে ৪ বলে ৮ রান নিয়ে খেলা শেষ করেন ডুমিনি।

 

নিউজিল্যান্ডের অ্যান্ডারসন তিনটি ও বোল্ট দুটি উইকেট নেন।