বিজিবির রাজ্জাককে ফেরত দেবে মিয়ানমার

18

মিয়ানমারের হাতে আটক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাককে যেকোনো সময় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক দুপুরে জানান, নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মাইও মাইন সোমবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, যেকোনো সময় বিজিবি নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দেবে দেশটি। তাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে বিস্তারিত (মডালিটি নিয়ে) আলাপ চলছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মাইও মাইনের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে হওয়া সীমান্ত চুক্তির আলোকে আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক জানান, কূটনীতিক তৎপরতা চলছে। যেকোনো সময় নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দেবে মিয়ানমার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, মিয়ানমার সরকার প্রথমে জানিয়েছিল, বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাক অবৈধভাবে মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করায় এবং তাকে সেখান থেকে আটক করায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু এখন আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে মিয়ানমার।
কূটনীতিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান শনিবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজিবির অপহৃত নায়েক আবদুর রাজ্জাককে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানান।
এর আগে, ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মাইও মাইনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তলব করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত মাইও মাইনকে বলা হয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সরকার যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়।
গত বুধবার সকালে টেকনাফের দমমিয়া চেকপোস্টের বিপরীতে লালদিয়া নামক স্থানে একদল চোরাকারবারীকে ধাওয়া করে বিজিবি সদস্যরা। একপর্যায়ে চোরাকারবারীরা বিজিবির আওতার বাইরে চলে যায়। এ সময় মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশের সদস্যরা বিজিবির টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবির সদস্য বিপ্লব গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাক নামে এক সদস্য নাফ নদীতে পড়ে গেলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।