জাতীয় স্মৃতিসৌধে নরেন্দ্র মোদি

9

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন। এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের সফরে শনিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান। নরেন্দ্র মোদিকে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঢাকায় নেমে বিমানবন্দরে উপস্থিত বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ, তিন বাহিনীর কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন নরেন্দ্র মোদি।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে সাভারের পথে রওনা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাবেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় সাংসদ। এ সময় সেখানে নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল ওযাকের-উজ-জামান উপস্থিত থাকবেন। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নরেন্দ্র মোদি এক মিনিট নীরবতা পালন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং মন্তব্য খাতায় অনুভূতি ব্যক্ত করবেন। এ ছাড়া সেখানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বৃক্ষ রোপন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

এরপর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে নরেন্দ্র মোদি শনিবার ১২টা ১৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ধানমণ্ডিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানানোর কথা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর থেকে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে নরেন্দ্র মোদি বিশ্রামের জন্য তারকাখচিত অভিজাত আবাসিক হোটেল সোনারগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। ২০১০ সালে তাঁর ভারত সফর এবং ২০১১ সালে ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রীর ফিরতি বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরো সুসংহত হয়। এর ফলশ্রুতিতে দুই দেশের মধ্যে পণ্য বাণিজ্য ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভারতের সহযোগিতার মাত্রা সম্প্রসারিত হয়েছে।