খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

11

নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে চলবে বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন; সেই রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নাইকো মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আর গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা বাতিলে খালেদা জিয়ার দুটি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল বুধবার রায় অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল গ্যাটকো মামলা বাতিলে খালেদা জিয়ার দুই আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

পরে নাইকো মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ও নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি হাইকোর্ট রুল দেন। ওই সময় থেকে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

প্রায় সাত বছর পর চলতি বছরের শুরুতে মামলাটির কার্যক্রম আবার চালু করার উদ্যোগ নেয় দুদক। গত ১৯ এপ্রিল রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়, ২৮ মে শুনানি শেষ হয়। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তাঁকে সহযোগিতা করেন রাগীব রউফ চৌধুরী ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।