নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ

16

নারী কনস্টেবলকে গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

ওসিসির সমন্বয়কারী বিলকিস বেগম জানান, ওই নারী কনস্টেবলের কয়েকটি শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। রবিবার তাঁর ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে।

খিলগাঁও থানার ওসি মুস্তাফিজ ভূঁইয়া জানান, তাদের মধ্যে বিয়ে এবং পরে বিচ্ছেদ হওয়ার কথা তাঁর জানা ছিল। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা তিনি জানেন না। ওসি জানান, এএসআই কালিমুর রহমান বর্তমানে স্পেশাল পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এসপিবিএন) কর্মরত।

ওই নারী পুলিশ সদস্য জানান, প্রেমের সূত্রে ২০১১ সালে খিলগাঁও থানার সাবেক এএসআই কালিমুর রহমানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু তিন বছর পর ২০১৪ সালে তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর থেকে তিনি গাজীপুরে মায়ের সঙ্গে থাকেন। গত ১০ জুন রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন তিনি। কালিমুর রহমান তা জানতে পেরে তাঁকে মোবাইল ফোনে ডেকে তিলপাপাড়ার ৮৬ নম্বর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে কালিমুর রহমানসহ চারজন সারারাত তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মালিকের সহায়তায় কৌশলে তিনি ওই বাসা থেকে বেরিয়ে খিলগাঁওয়ে এক আত্মীয়র বাসায় ওঠেন। সেখান থেকে শুক্রবার তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কিছুদিন আগে ওই দুজনই এক সহকারী পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে জানান, তাঁরা ডিভোর্সের বিষয়টি মীমাংসা করে আবার বিয়ে করতে চান। তিনি তাঁদের মীমাংসা করে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন শুনছি, সাবেক স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। নারী কনস্টেবল ও এএসআইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেউ যদি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ওই নারী কনস্টেবলের বড় বোন জানান, চার বছর আগে তাঁর বোনের সঙ্গে ওই এএসআইয়ের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের তিন বছর পর ওই এএসআই ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন এবং পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিতে চাপ দেন। এসব নিয়ে এক বছর আগে তাঁদের বিয়েবিচ্ছেদ ঘটে। ওই ঘটনা নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী কনস্টেবল আদালতে মামলাও করেছিলেন।