কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড পাবনার তিন থানা

17

পাবনার তিন থানায় কালবৈশাখী ঝড়ে উঠতি ফসল ধান, মৌসুমী ফল আম-লিচু ও বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার ভোর ৬টার দিকে পাবনা সদর, আটঘরিয়া ও আতাইকুলা থানার উপর দিয়ে ঝড় ও বৃষ্টি বয়ে যায়।

বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়।

ঝড়ের সময় বজ্রপাতে চামেলী খাতুন (২৫) নামের এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত চামেলী খাতুন আতাইকুলা থানার গোঁসাইপাড়া গ্রামের আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পাবনা সদর উপজেলার জোয়ারদহ গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, সকাল ৬টা থেকে এই কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী চলে ঝড়ের তান্ডব।

প্রচন্ড ঝড়ে সদর থানার গয়েশপুর, হামিদপুর, জোয়ারদহ, চকউগ্রগড়, জয়কৃষ্ণপুর, মৌগ্রাম, আটঘরিয়া থানার চৌকিবাড়ী, গোপালপুর, ত্রিমোহন, একদন্ত, পরানপুর হিদাশকোলসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি, উঠতি পাকা ধান, লিচু ও আম গাছ ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে গেছে।

জোয়ারদহ গ্রামের লিচু বাগানের মালিক আব্দুস সোবহান জানান, ঝড়ে তার বাগানে সব গাছ ভেঙ্গে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

চক উগ্রগড় গ্রামের আরশেদ আলী জানান, তার বাগানের প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এরকম চকউগ্রগড় গ্রামের আফতাই প্রামানিক, আক্কাস আলী মাষ্টার, আইয়ুব আলী, আব্দুল ওহাব মাষ্টার, চৌকিবাড়ী গ্রামের খলিল বিশ্বাস, রকিবুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাকসহ শতশত লোকরে ঘরবাড়ি ও লাখ লাখ টাকা আম লিচু বাগান ভেঙ্গে ল-ভ- হয়ে গেছে।

এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে তাদের এলাকায় কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক তার ও খুটি ভেঙ্গে ও হেলে পড়েছে।