মোদির সঙ্গে খালেদার বৈঠক ৭ জুন

24

আগামী ৬ ও ৭ জুন ৩৬ ঘণ্টার সফরে বাংলাদেশে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এসফরের ‍দ্বিতীয় ‍দিন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির একটি সুত্র। আর এ বৈঠককে ঘিরে বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতিও চলছে। তবে সরকার এতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি।

এদিকে প্রতিবেশী ও প্রভাবশালী দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সাথে আসন্ন বৈঠকে দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়াদির বাইরে আভ্যন্তরীণ (রাজনীতি) কিছু বিষয় মোদিকে অবহিত করবে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ী অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন।

বিজেপির সাথে বিএনপির বিভিন্ন দিকে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই বাধা এলেও আজকের বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ দেবেন। সূত্রমতে, ভারত এবং কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ২০১২ সালের অক্টোবরে সপ্তাহব্যাপী দিল্লি সফর করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, কংগ্রেস ও বিজেপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক হয় তার। তবে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে রাজ্য সফরে থাকায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়নি। এ সফরে দেশটির সাথে সম্পর্কের উন্নতি হয়। কিন্তু তাতে টানপড়ে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ। ওইদিন ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি হরতালের অজুহাতে বাতিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি ও তার মিত্র দলের নেতারা মনে করেন যার খেসারত দিতে হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশ সফরে আসছেন যেখানে গণতন্ত্র নির্বাসিত। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির সাথে বিজেপির নিবিড় সম্পর্ক আছে। সেটা অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনামলেই উদাহরণ মিলেছে। বিজেপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ দিয়েছেন এমনকি ১২ মিনিট একান্তে বৈঠকও করেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং পিপারস্প্রেতে অসুস্থ হবার পর বিজেপির সভাপতি অমিতশাহ খোঁজ-খবরও নিয়েছেন। সূত্র আরো জানায়, বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি, বাণিজ্য ঘাটতি, সীমান্ত সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা করবেন খালেদা জিয়া। আলোচনায় তুলে ধরবেন ভারতে অবস্থানরত ও গ্রেফতারকৃত দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের বিষয়টিও।