প্রধানমন্ত্রী বললেন ‘নাটক’, জয়ের মতে, ‘ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’

17

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলাকে ‘জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার সন্ধ্যায় ৬টায় ওই হামলার পর রাতে নিজের ফেইসবুক পেইজে স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। জয় লিখেছেন, “বিগত তিন মাস যাবৎ বাসে এবং গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করে কমপক্ষে ১৬০ জনকে হত্যা এবং আরও অসংখ্য মানুষকে আহত করায় ঢাকাবাসী খালেদা জিয়ার উপর ভীষণ ক্ষিপ্ত। আমি মনে করি যারা আজ তার গাড়িবহরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে তা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।”

জয় লিখেছেন, “আমরা আওয়ামী লীগ যে কোনো সহিংসতা এবং এই ধরনের হামলা সমর্থন করি না, কিন্তু এটাও ঠিক যে আমরা জনগণের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।”

জয় আরও লিখেন, “সহিংসতার শিকার ঐ নিরপরাধ আক্রান্তদের ন্যায়বিচার প্রাপ্য। খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে তাদের জঘন্য এবং কাপুরুষোচিত জ্বালাওপোড়াও এর জন্য আইনের আওতায় আনা দরকার। গাড়িবহরে ইট নিক্ষেপ করাটা কোনো উপায় হতে পারে না।”

সজীব ওয়াজেদ জয় গাড়িবহরে হামলাকে ‘জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’ বললেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনি (খালেদা জিয়া) সব কিছুতে নাটক করছেন। ৯১ দিন অফিসে বসে বোমা ককটেল মেরে, বাস পুড়িয়ে মানুষের জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন। মানুষের জীবনকে স্থবির করে দিয়েছিলেন। যখন শান্তি এসেছে, মানুষকে আবার যন্ত্রণা দিতে তিনি মাঠে নেমেছেন।”

অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম বলেন, ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার সত্যতা আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন,  ‘আমাদের কানে এসেছে ঘটনাটি অন্য রকম। কারও ওপর হামলা করা হয়নি বরং অন্যদের ওপর বিএনপির লোকজন চড়াও হয়েছিল।’

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকেরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সরকার-সমর্থকেরা খালেদা জিয়ার গাড়ি, পেছনে থাকা চেয়ারপারসনের অতিরিক্ত গাড়ি (স্পেয়ার কার) ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীদের (সিএসএফ) তিনটি গাড়ি এলোপাতাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া সেখানে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। হামলায় খালেদার দুজন নিরাপত্তাকর্মী ফজলুল করিম ও ফারুক হোসেন, একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার ও খালেদা জিয়ার একজন গাড়িচালক শাহজাদা শাহেদ এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। খালেদা জিয়ার গাড়ির সামনের অংশে রক্তের দাগ দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল সকালে খালেদার বাসা থেকে পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। হামলার সময়ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তেমন তৎপরতা ছিল না।