মাশরাফিতে বিস্মিত ইয়াং

45

ডেভিড ইয়াং। অস্ট্রেলীয় এই অর্থোপেডিক সার্জন বাংলাদেশে এক পরিচিত নাম। এই কৃতিত্বটা অবশ্য মাশরাফি বিন মর্তুজাকেই দেওয়া উচিত ইয়াংয়ের। তার কারণ, অধিনায়কের প্রায় সবগুলো সার্জারির সঙ্গেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।

তবে ডেভিড ইয়াংয়ের কাছে মাশরাফি এক বিস্ময়। এতোবার অস্ত্রোপচারের পরেও যে এভাবে খেলা যায়, সেটা তিনি জানতেন না। এ নিয়ে এই শল্য চিকিৎসক বলেন, ‘আমি আমার চিকিৎসক জীবনের ৩০ বছরে অনেক ক্রিকেটারকে নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু মাশরাফি আমার দেখা সবচেয়ে আকর্ষণীয় পেসার। দুই হাঁটুর লিগামেন্ট ছেড়ার পরেও যে সাড়ে এগারো বছর ধরে সে এভাবে খেলে যাচ্ছে, এটা বিস্ময়কর।’

এতোকিছুর পরেও মাশরাফি খেলছেন, এ কারণে মাশরাফি নিজেও হয়তো তার কাছে ঋণী। ইয়াং অবশ্য ম্যাশের কৃতিত্বকে ভাগাভাগি করে নিতেই বেশী আগ্রহী। বলেন, ‘একজন সার্জন হিসেবে আমি মনে করি, আমাদের হাতে মাত্র ৫০ ভাগ ক্ষমতা রয়েছে। বাকিটুকু নির্ভর করে খেলোয়াড়দের উপরে। তাই মাশরাফির কৃতিত্বটা তারই। তার মনোবলের, পুনর্বাসনের।’

মাশরাফির এই সাফল্যের জন্যেই কি না, বাংলাদেশের বাকি ক্রিকেটাররাও অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে ডেভিড ইয়াংকে এগিয়ে রাখছেন। যার ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপের আগেও দলের ওপেনার তামিম ইকবাল তার কাছে অস্ত্রোপচার করান।