সালাউদ্দিন কাদেরের আপিল শুনানি রোববার পর্যন্ত মুলতবি

22

জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের আপিলের রায়ের পর মঙ্গলবারই সর্বোচ্চ আদালতে শুরু হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আপিলের শুনানি।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে এ আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার শুনানির প্রথম দিনে পেপারবুক থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন শুরু করেন তাঁর আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক।

বুধবারও তা অব্যাহত ছিলো। শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। এ নিয়ে আপিল বিভাগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পঞ্চম মামলার শুনানি শুরু হলো। এর আগে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার মামলায় আপিলের রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদের ফাঁসি বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের রাউজানে নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর বণিকপাড়া ও উনসত্তরপাড়ায় গণহত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মোজাফফর আহমেদ ও তাঁর ছেলে শেখ আলমগীরকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২৩টি অভিযোগ আনে, যার মধ্যে নয়টি প্রমাণিত হয়। চারটি অভিযোগে (৩, ৫, ৬, ৮) ফাঁসির আদেশ ছাড়াও রাউজানের মধ্য গহিরা হিন্দু পাড়া ও জগৎমল্লপাড়ায় গণহত্যা এবং রাউজানের সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যার তিনটি অভিযোগে (২, ৪, ৭) সাকা চৌধুরীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আর নিজামুদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে আটকে রেখে নির্যাতন ও মো. সালেহউদ্দিনকে নির্যাতনের দুটি অভিযোগে (১৭ ও ১৮) তাঁকে পাঁচ বছর করে কারাদ- দেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ও খালাস চেয়ে ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর আপিল করেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। চারটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি।