আগামীকাল আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

76

জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৫ মে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক হারুন অর রশিদের সাক্ষ্য প্রত্যাহারের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।

তবে ১৪ জুন ওই দুই মামলায় বাদীর সাক্ষ্য বাতিল করে নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী এহসানুর রহমান জানান, আদালতের কাছে রুল চেয়ে রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আবেদনটির শুনানি হবে।

আগামীকাল ১৮ জুন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানের পক্ষে সাক্ষীকে জেরার জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। রাজধানীর বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এর আদালতে বিচারাধীন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় গত ২৫ মে সাক্ষীকে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় আদালত এ মামলায়ও ১৮ জুন পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করেন।

গত ২৫ মে দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ আদালতে সাক্ষ্য দেন। এদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন অভিযোগ করেন যে বাদী দেখে দেখে সাক্ষ্য দিচ্ছেন, প্রসিকিউশন পাশে থেকে বলে দিচ্ছেন। এটা বে আইনি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রাখেন। পরে খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বাদীর সাক্ষ্য প্রত্যাহারের আবেদন জানান। শুনানিতে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আইনানুযায়ী কোনো আসামির অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ করতে হলে আদালতকে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে অথবা তাঁকে অনুপস্থিত দেখাতে হবে। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। তাই সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। তা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।