ট্রেন চালু করে পালালেন চালক!

50

রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুরগামী ‘ফরিদপুর এক্সপ্রেস’ এর চালক ট্রেনটি চালু করে ব্যাক গিয়ার দিয়ে সহকারী চালকসহ পালিয়ে গেছেন। এতে ট্রেনটি উল্টো পথে প্রায় ২৬ কিলোমিটার যাওয়ার পর ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) কৌশলে সেটি থামাতে সক্ষম হন। আজ রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে থামান টিটি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলে্ন, টরেনটি রাজবাড়ী স্টেশন থেকে সকাল আটটা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা। কিন্তু সেটি সকাল আটটা চার মিনিটে ফরিদপুরের দিকে না চলে উল্টো পথে অর্থাৎ কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রেনে বেশ কিছু যাত্রী ছিলেন।

আনোয়ার বলেন, উল্টো পথে চলায় প্রথমে তিনি ভেবেছেন, হয়তো পানি নিতে বা লাইনের পয়েন্ট ঠিক করতে সেটি পেছনের দিকে চলছে। কিন্তু পয়েন্ট ঠিক করার সীমানা পার হয়েও উল্টো দিকে চলতে থাকায় যাত্রীরা হইচই শুরু করেন। এর পর তিনি ট্রেনটিকে থামাতে সংকেত দেন। কিন্তু ​ট্রেনটি না থামায় তিনি শেকল টেনে ধরেন। এর পরও ট্রেনটি না থেমে উল্টো দিকে চলছিল। তাই তিনি ট্রেনটিকে থামাতে কী-বক্স খুলে ভ্যাকম বক্স থেকে বাতাস ছেড়ে দেন।

আনোয়ার বলেন, ভ্যাকম বক্সের বাতাস ট্রেনটিকে চলতে ও থামাতে সহযোগিতা করে। ট্রেনটি চলার সময় ভ্যাকম বক্সগুলো বায়ুপূর্ণ করা হয়। এতে বগিগুলো হালকা হয়। ফলে বগিগুলোকে ইঞ্জিন সহজেই টেনে নিতে পারে। আবার থামানোর সময় ভ্যাকম বক্স আস্তে আস্তে বায়ুশূন্য করা হয়। এতে বগিগুলো ক্রমশ ভারী হয়। ফলে ট্রেনটি থেমে যায়।

টিটি বলেন, তিনটি বগির ভ্যাকম বক্স খুলে বায়ুশূন্য করার পর বগিগুলো ভারী হয়ে যায়। তখন ইঞ্জিন সেগুলোকে আর টানতে না পারায় প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া সেতুর কাছে সেটি থেমে যায়। কিন্তু ট্রেনের ইঞ্জিনটি তখনো সচল ছিল। এরপর ৯টা ৪ মিনিটে তিনি ইঞ্জিনটি বন্ধ করেন।

রাজবাড়ী রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে ট্রেনটির চালক মোহাম্মদ আলী ও সহকারী চালক ফয়সাল পলাতক। ট্রেনটির পরিচালক সুভাস চন্দ্র শর্মাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কামরুজ্জামান আরও বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।