জিনের কারণে স্কুল বিমুখ হয় সন্তান

13

স্কুলের শ্রেণীকক্ষে পাঠে শিশুর অমনোযোগিতা নিয়ে উদ্বিগ্ন? তাকে এজন্য নিয়মিত শাসন বা ভৎসনা করেন? এক্ষেত্রে জানা থাকা ভালো যে, শিশুর শ্রেণীকক্ষে অমনোযোগিতা বা অনাগ্রহের অন্যতম কারণ জিন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস।
জিনের কারণে শিশুর স্কুলে মনোযোগে ঘাটতি বলে দেখা গেছে গবেষণায়। গবেষণায় কয়েকটি দেশের ১৩ হাজার যমজ সন্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে যমজ সন্তান অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্য হলো, তাদের বাড়ির পরিবেশ, শিক্ষক ও পিতামাতার অভিন্ন ভূমিকা থাকার পরেও জিনের পার্থক্যের কারণে তাদের আগ্রহের তারতম্য নির্ণয়।
এক্ষেত্রে গবেষকরা দেখেন জিনের পার্থক্যের কারণে তাদের অভিন্ন পরিবেশ থাকার পরেও স্কুলের কার্যক্রমে মনোযোগের পার্থক্য থাকে। এ পার্থক্যের হার ৪০ থেকে ৫০ ভাগ পর্যন্ত নির্ণয় করেন গবেষকরা।
গবেষণাপত্রটির সহ-লেখক ও ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির সাইকোলজির প্রফেসর স্টেফেন পেটরিল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, মানুষ জন্মসূত্রে ব্যক্তিত্বের পার্থক্য অর্জন করে। এটি উৎসাহের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখে। এর অর্থ এটা নয় যে, আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে মনোযোগী হতে উৎসাহিত করব না। কিন্তু এটা বাস্তবতা যে, তাদের পার্থক্যের কারণ জিনগত।’
এ গবেষণায় ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূলত এতে ছিল ব্রিটেন, কানাডা, জাপান, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা।
গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ‘পার্সোনালিটি অ্যান্ড ইন্ডিভিজুয়াল ডিফারেন্সেস’ জার্নালে।