প্রেমে পড়ে পাক ক্রিকেটার হলেন আফ্রিকান ক্রিকেটার

16

Everything is fair in love and war! এই বহুল প্রচলিত প্রবাদটি পুরোদস্তুর প্রযোজ্য দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার ইমরান তাহিরের জীবনে। না, যুদ্ধ নয়, ইমরান তাহিরকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্লেয়ার করেছে প্রেম। প্রেমে না পড়লে হয়তো পাকিস্তান দলে দেখা যেত তাঁকে। ভালোবাসাই ইমরানের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ২০০৬ সালের আগে ইমরান কোনােদিনও ভাবেননি, তিনি স্থায়ী ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে খেলবেন। এখনও সেই দিনগুলি ভেবে খানিকটা আশ্চর্যই হয়ে যান একদা পাক ক্রিকেটার।
সালটা ১৯৯৮। ইমরান তাহির তখন পাকিস্তানের অনুর্ধ্ব ১৯ দলের সদস্য। সে বছর দক্ষিণ আফ্রিকার জুনিয়র দলের সঙ্গে খেলতে যায় পাকিস্তানের অনুর্ধ্ব ১৯ দল। ইমরানের প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। জানতেন না, এই সফরের পরই তাঁর জীবন সম্পূর্ণ অন্য খাতে বইবে। ডারবানে সৌম্যার (বর্তমানে ইমরান তাহিরের স্ত্রী) সঙ্গে আলাপ হয়। প্রথম সাক্ষাতের পরই প্রেমে হাবুডুব খেতে শুরু করে দেন দু’জনেই। সৌম্যা ভারতীয়। গোল বাধে এখানেই। একজন ভারতীয়কে কোনও পাকিস্তানি বিয়ে করার ক্ষেত্রে রয়েছে কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু যে করে হোক সারা জীবন একসঙ্গেই কাটাবেন, ঠিক করে ফেলেছিলেন দু’জনেই। তাহলে উপায়?
প্রেম কোনাে সীমান্ত মানে না। তাই ইমরান ঠিক করলেন, পাকাপাকি ভাবে দেশই ছেড়ে দেবেন। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। সৌম্যাকে পেতে পাকিস্তান ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন ইমরান। ২০০৬-এ ইমরান দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকত্ব পেয়ে যান। ব্যস, আর কোনও বাধা নেই। তারপরই তড়িঘড়ি মধুরেণ সমাপয়েত্‍। প্রতিভাবান ইমরান এখন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের মূল্যবান সদস্য।
এক বছর হল, ইমরান-সৌম্যার একটি পুত্রসন্তান হয়েছে। ছোট্ট জিবরানকে নিয়ে এখন সুখের সংসার ইমরানের। তাঁর কথায়, ‘সৌম্যাকে পেয়ে আমি ভাগ্যবান। সৌম্যা ও জিবরানই এখন আমার জীবন। বিশ্বকাপ চলাকালীন আমরা একটা দারুণ সময় অস্ট্রেলিয়ায় কাটালাম। এটা ঠিক যে, দেশ ছেড়ে প্রথম কয়েক বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাটা বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা ইতিবাচক দিক থেকেই জীবনটা দেখেছিলাম। এখন আমরা খুব সুখি।’
সূত্র: এই সময়