দিলওয়ালে আর দুলহনিয়া নিয়ে যাবে না

23

মুম্বাই: শেষ হলো টানা ২০ বছরের যাত্রা। থামল বলিউডি ছবির দীর্ঘতম সফর। মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দিরে বৃহস্পতিবার সকালেই শেষবারের মতো দেখানো হলো ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে’। মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৯৫-এর ১৯ অক্টোবর থেকেই মারাঠা মন্দির প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হচ্ছে শাহরুখ-কাজল অভিনীত ডিডিএলজে। বন্ধ হয়নি একদিনের জন্যও। ১০০৯ সপ্তাহ চলে বড়পর্দায় সবচেয়ে বেশি দিন চলার রেকর্ড গড়ে অবশেষে থামল সেই যাত্রা। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ‘শোলে’র দখলে। মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে টানা পাঁচ বছর চলেছিল ১৯৭৫-এ মুক্তি পাওয়া এই ব্লকবাস্টার।

তখন ১০০ কোটি, ২০০ কোটির ক্লাব ছিল না। ছিল না মাল্টিপ্লেক্সও। সিঙ্গল স্ক্রিনের সেই জমানায় ডিডিএলজে-র রোম্যান্টিক আবেদন ভাসিয়েছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। শাহরুখ-কাজল জুটির ম্যাজিকে ভর করে এই ছবি ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবির তালিকার প্রথমদিকে পাকাপাকি ঠাঁই করে নেয়। দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গের এই বিপুল জনপ্রিয়তাকে সম্মান জানাতেই মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দির নিজেদের মর্নিং শো ছেড়ে দেয় ডিডিএলজে-র জন্য। সেই থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে এগারোটায় দেখানো হত দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে। সম্প্রতি ১০০ সপ্তাহ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ১১-৩০ থেকে মর্নিং শো-এর সময় ৯-১৫য় এগিয়ে আনা হয়। বাকি মাত্র ৩টি শো-তে মুক্তিপ্রাপ্ত বাকি সব সিনেমা দেখানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বলে জানিয়েছেন মারাঠা মন্দিরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনোজ দেশাই।

স্বাভাবিক ভাবেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে এসেছিল দর্শক সংখ্যা। তবে ২০ বছর পরও অন্তত ২০০টি আসন প্রতিদিন ভরা থাকত বলে মারাঠা মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে। ডিডিএলজে-র টিকিটের দামও অন্য সিনেমার চেয়ে অনেকটাই কম ছিল। ১০, ১৫, ২০ টাকাতেই পাওয়া যেত টিকিট। তবু প্রতি সপ্তাহে যে ভাবে একাধিক ছবি মুক্তি পাচ্ছে, সেদিকে তাকিয়েই, সব সিনেমাকে জায়গা করে দিতে প্রায় দুই দশক পর বন্ধ হলো দিলওয়ালের দুলহনিয়া নিয়ে যাওয়ার কিসসা।-ওয়েবসাইট