প্রাণভিক্ষা চাওয়া না চাওয়ার সিদ্ধান্ত রিভিউ শুনানির পর’

21

 মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া না চাওয়ার সিদ্ধান্ত রিভিউ শুনানি নিষ্পত্তির পর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।

কামারুজ্জামানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান শিশির মনির।

শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে অ্যাডভোকেট শিশির মনিরসহ কামারুজ্জামানের পাঁচ আইনজীবী কারাগারে যান। অন্য আইনজীবীরা হলেন অ্যাডভোকেট মশিউর আলম, ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে সাক্ষাৎ শেষে তারা কারাগার থেকে বের হন।

শিশির মনির আরো জানান, কামারুজ্জামান তাদের বলেছেন, আগামীকাল তার রিভিউ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি নিষ্পত্তি হওয়ার পর আবারও তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

এর আগে আইনজীবীরা কয়েক দফায় কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ কামারুজ্জামানের মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় দেন।

এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া মৃত্যুদ-ের রায় বহাল রেখে এ রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

তারও আগে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছার পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীসহ চারজন কামারুজ্জামানের কনডেম সেলে গিয়ে পরোয়ানা পড়ে শোনান। কামারুজ্জামান তাদের কাছে আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলেন।

এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় কামারুজ্জামানের পাঁচ আইনজীবী সাক্ষাৎ করতে কারাগারে প্রবেশ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর কারাগার থেকে বেরিয়ে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কামারুজ্জামান আপিল বিভাগে রিভিউ করবেন। সেই প্রেক্ষিতে কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন করা হয় আপিল বিভাগে। সেটি এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।