চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে ভারত

27

ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হচ্ছে। আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এই এমওইউ সই হবে। এর ফলে ভারত বন্দর দুটি ব্যবহার করে তার বিভিন্ন রাজ্যে পণ্য পরিবহনের সুযোগ পাবে। এ ব্যাপারে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী বলেছেন- এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ভারতকে তার পণ্য আনা নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দেবে। এমওইউর আওতায় রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে আগরতলা, ডাউকি ও সুতারকান্দি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বন্দরগুলো যত বেশি ব্যবহার হবে, তত বেশি আয় বাড়বে। সড়কপথে ট্রাক, কভার্ড ভ্যান বা কনটেইনারে পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যানবাহন ব্যবহৃত হবে। এটি একটি নতুন চুক্তি হতে যাচ্ছে। মেহেদী বলেন, এই এমওইউ চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে, তাদের মতামত নিয়েছে। একই প্রক্রিয়া ভারতকেও অনুসরণ করতে হয়েছে। আজ সই হতে যাওয়া অপর একটি চুক্তি সম্পর্কে নৌ পরিবহন সচিব বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদি উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি অনুযায়ী ভারতের তিনটি সমুদ্র বন্দর- অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তম, কলকাতার হলদিয়া ও উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপের সাথে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল করবে। সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের চেয়ে উপকূলীয় জাহাজ চলাচলে সময় ৫ থেকে ৭ দিন কমে আসবে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে একটি সম্মতিপত্র সই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির মুখে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সইয়ে অপারগতা প্রকাশ করলে বাংলাদেশ সরকার এই সম্মতিপত্র সইয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। নরেন্দ্র মোদির চলতি ঢাকা সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের (পশ্চিমবঙ্গ) সাথে কেন্দ্রের সমঝোতার পরই বাংলাদেশের সাথে চুক্তিটি সই হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। নরেন্দ্র মোদির সফরে স্থল সীমানা চুক্তি অনুস্বাক্ষরের দলিল বিনিময়ের পর তা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে।