রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্মকর্তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী মন্ডলকে (৩৫) নিজ বাসায় কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিহতের স্বামী বিআরটিএর ডেপুটি ডিরেক্টর শিতাংশু শেখর এবং তার দুই মেয়ে অদিতি ও শ্রুতি গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার এসআই রাশেদুল হক সাগর জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে ৩/১২ নম্বর ইকবাল রোডের দ্বিতীয় তলার বাসায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা পরিবারের সবাইকে কুপিয়ে আহত করে বাসার মধ্যে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাবেরীকে ঢাকা মেডিক্যালে নিলে রাত আড়াইটায় তার মৃত্যু হয়। এছাড়া পরিবারের অন্য তিন সদস্য মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণা কাবেরী কলেজের প্রভাষক ছিলেন। আগুনে তার শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়াও মাথায়, গলায়সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিতাংশু শেখর বিশ্বাসের সঙ্গে খান জহিরুল নামে এক ব্যবসায়ীর পূর্ব পরিচয় ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ফল ও জুস নিয়ে শিতাংশুর মোহাম্মদপুরের বাসায় যায় জহিরুল হক। ফল এবং জুস খাওয়ার পর বাসার সবাই অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর জহিরুল হক তাদের হাত বেধে সবাইকে পেটান। মারধরের পর তিনি ঘরের ভেতর আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সূত্রটি আরো জানায়, খান জহিরুল হকের শেয়ার ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। শিতাংশু শেখরের সঙ্গে তার অনেক দিনের পরিচয়। জহিরুল হক রাজধানীর গুলশানের ১৫ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর বাসার বি-২ ফ্ল্যাটে থাকেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে ব্যবসায়িক কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। এজন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানা ওসি আজিজুল হক জানান, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.