যে পাঁচটি কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতবে বাংলাদেশ!

23

গত ১৬ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচেও জিতেনি বাংলাদেশ। আর এই কথাটা সব ফরম্যাটের জন্যই সত্য। তবে, এবার সেই জয় খরা কাটানোর যথেষ্ট সুযোগ আছে মাশরাফি-সাকিবদের সামনে। বিশেষ করে, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য কথাটা বেশি প্রযোজ্য।

চলুন সেই কারণগুলো জেনে নেয়া যাক…

১/ সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স

সাম্প্রতিক বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে, আত্মবিশ্বাসী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে বাংলাদেশের। কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি বুক চিতিয়েই লড়াই করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের লড়াইটাও কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ হয়েছে। তবে, অন্তত ব্যাটিং ধারাবাহীকতায় এগিয়ে ছিল বাংলাদেশই। কোন গালগল্প নয়, খোদ পাকিস্তানের রমিজ রাজারই ভাবনা এমন।

২/ পাকিস্তানের অনভিজ্ঞতা

সর্বশেষ ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ওয়ানডে খেলেছেন এমন একজনকে ওয়ানডে অধিনায়ক করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। তার উপর বিশ্বকাপ দিয়েই ওয়ানডেকে বিদায় বলা সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ও শহীদ আফ্রিদির অভাব পূরণ করা তো আর মুখের কথা নয়।

৩/ ‘সাকিব’ ফ্যাক্টর

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২ ওয়ানডেতে ৪১.০০ গড়ে সাকিবের রান ৪৫১। এক সেঞ্চুরি আর তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে সাজানো এই রান বাংলাদেশের হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ তো বটেই, বর্তমান পাকিস্তান দলের কোন ব্যাটসম্যানও বাংলাদেশের বিপক্ষে এতো রান করতে পারেননি। উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে সাকিব (১৬ টি) অবশ্য বাংলাদেশে দ্বিতীয়। এখানে ১৮ টি নিয়ে শীর্ষে আছেন বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। তবে, এখানেও দু’দল মিলিয়ে শীর্ষে সাকিব। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজের্ উইকেট ১৩ টি।

৪/ মুশফিকের ব্যাটিং

ওয়ানডেতে দু’দল মিলিয়ে ব্যাটিং র্যাং কিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তার র্যাং কিং এখন ৩০। ৩৩ নম্বরে আছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ। টেস্টের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ওয়ানডে ব্যাটসম্যান র্যাং কিংয়ে আছেন ৩৬ নম্বরে।

৫/ ছন্নছাড়া পাকিস্তান

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পাওয়াটা পাকিস্তানের জন্য সহজ উপায়ে হয়নি। আর তার পরই বাদ পড়ায় দেশ জুড়ে চলছে সমালোচনা। এর সাথে একগাদা অবসর আর ইনজুরি যুক্ত হওয়ায় বেশ ঝামেলার মধ্যেই আছে দলটি। আর বাংলাদেশে এসেই এক উইকেটে হারতে হয়েছে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে।