আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস

36

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে সারা বিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দিনটি পালন করা হয়। জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতিবছর ৩রা মে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

গণমাধ্যমের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন ও দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা, ধর্মীয় উগ্রপন্থি কর্তৃক ব্লগার হত্যা ও দুই বছর আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাসহ গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে নিরাপদে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক এ সংস্থা।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০১৫ উপলক্ষে শনিবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর ৫৭ ধারা সংশোধন এবং জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪-তে বেশ কিছু ধারা সংযোজিত করেছে, যা গণমাধ্যম এবং ব্যক্তির স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে।


ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ঘটনার দুই বছর অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত সাগর-রুনি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। ব্লগার অভিজিতের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। সাংবাদিক নির্যাতনের সাম্প্রতিক ঘটনা সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে খর্ব করেছে, যা কোন সুশাসিত গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়। তিনি বৈষম্যমূলকভাবে কোন কোন সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও নিন্দা জানান।

তিনি আরও বলেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে একদিকে সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনার আহ্বান জানানো ও অন্যদিকে সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে দ্বৈতনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে, যা গণতন্ত্র বিকাশ ও সুশাসনের পথে অন্তরায়।