বাংলাদেশে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ আজ মঙ্গলবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি হাসপাতাল থেকে তার স্ত্রীকে ফোন করলে মি. আহমেদের অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে।
দু’মাস আগে নিখোঁজ হওয়ার পর এই প্রথম তার খোঁজ পাওয়া গেলো। তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিলো যে সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছিলো যে মি. আহমেদের অবস্থান সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই।
এখন হঠাৎ করে মেঘালয়ের একটি হাসপাতাল থেকে তার ফোন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তিনি কিভাবে মেঘালয়ে গিয়ে পৌঁছালেন সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
ভারতের পুলিশ বলছে, মি. আহমেদকে শিলং শহরের বাসিন্দারা উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখার পর তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমে তাকে সেখানকার পোলো গ্রাউন্ড গল্ফ লিঙ্ক এলাকায় দেখা যায়।
পরে তার মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে একটি সরকারি মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিলং শহরের পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট বিবেক সিয়াম বিবিসিকে বলেন, “একজন ব্যক্তি উদভ্রান্তের মতো ঘুরছেন – এই খবর পেয়েই তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।”
মি. সিয়াম বলছেন, তার দেহে কোনো চোট বা আঘাতের চিহ্ন ছিলো না, কিন্তু তিনি নিজে হৃদরোগ আর লিভারের সমস্যা রয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও তিনি গুছিয়ে দিতে পারছিলেন না। তাই তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে রাখা হয়েছে।”
মি. আহমেদ সরকারি মানসিক হাসপাতাল ‘মেঘালয় ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরো সায়েন্সেস (মিমহ্যানস) এ অবস্থান করছেন।
তাকে এখন অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান মি. সিয়াম।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন,“তার ভারতে আসার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এখানে তিনি কী উদ্দেশ্যে এসেছেন, সেটা তাকে জেরা করার পরেই বোঝা যাবে। কিন্তু এখন তিনি অসুস্থ বলে জেরা করতে পারি নি।” জানিয়েছেন শিলংয়ের এস পি।
পুলিশ বলছে, সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে।
সূত্রঃবিবিসি
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.