মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক

53

মানব পাচার করে যেসব ব্যক্তি অঢেল সম্পদের অর্জন করেছেন বা এই কাজে যারা অবৈধভাবে টাকা স্থানান্তর করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এ বিষয়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে দুর্নীতিবিরোধী এ সংস্থাটি।

রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মাসিক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক ড. মো. শামসুল আরেফিন এ তথ্য জানান।

কিছু আইনী প্রক্রিয়া শেষ করেই মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানে শুরু হবে জালে জানান তিনি।

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, দুদকের পরিচালক নুর আহম্মাদ ও বেলাল হোসেন এবং দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

ড. মো. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মানব পাচার ও তাদের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনেক খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই বিষয়টি আমলে নিয়েছি। মানব পাচারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন অনেক। এসব ব্যবসায় জড়িত লোকজন অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে টাকা হস্থান্তর ও স্থানান্তর করে। যেহেতু মানিলন্ডরিং ও অবৈধ সম্পদ অর্জন দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ তাই দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি। পত্রিকায় আসা খবরগুলোও আমলে নিচ্ছি। কমিশনের আইনী পক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি কমিশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুদক জনগনের প্রত্যাশা পুরণে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গত চার মাস ধরে মাসিক সংবাদ সম্মেলন করতে পারিনি। কমিশনের গত কয়েক মাসে বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততায় সংবাদ সম্মেলন হয়নি। তবে আমাদের তথ্যপ্রবাহ চালু ছিল। আশা করি আগামী মাসগুলোতে আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারবো।’

এসময় লিখিত বক্তব্যে দুদকের এই মহাপরিচালক বলেন, ‘গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমাদের কাছে অভিযোগ আসে ২৭৯৮টি, এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গৃহিত হয় ২৩২ টি। এই চার মাসে ১২৬টি অভিযোগের ব্যাপারে মামলা দায়েরের অনুমোদন হয়েছে, চার্জশিট দাখিল হয়েছে ২১৬টি এবং মামলার তদন্ত শেষে কোনো অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে ১৮৪টির।’

প্রসঙ্গত, দুদকের সংবাদ সম্মেলনে একমাসে দুদকের মামলা, চার্জশিটসহ যেসব তথ্য সংবাদমাধ্যমে বলার উপযোগী সেসবের সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরা হয়। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা দুদকের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েও সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়ে থাকেন এই ব্রিফিংয়ে। নীতিমালায় প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো পদের কথা না বলা হলেও শুরু থেকে দুদকের সচিবের দায়িত্বে যিনি থাকতেন তিনি ব্রিফিং করতেন। কিন্তু অনির্দিষ্ট কারণেই সচিবকে বাদ দিয়ে এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে করা হবে এই প্রেস ব্রিফিং।