রাজধানীর হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজুকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে র্যাবের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এ মামলায় র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মাসুদ রানাসহ র্যাবের তিনজন ও একজন সোর্সসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত আরজুর বড় ভাই মাসুদ রানা। মামলার অন্য তিন আসামি হচ্ছেন র্যাব-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শাহিদুর রহমান, পরিদর্শক ওয়াহিদ ও সোর্স রতন।
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালত।
গত ১৭ আগস্ট গভীর রাতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন হাজারীবাগের কিশোর রাজা (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা আরজু (২৮)। ১৮ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সে সময় র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মাসুদ রানা জানান, ১৭ আগস্ট সকালে মোবাইল চুরির অভিযোগে একই এলাকার রাজা নামে এক কিশোরকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন হাজারীবাগ ছাত্রলীগ নেতা আরজু।
এ ঘটনায় রাজার বোন রেশমা আক্তার শাবানা বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় আরজুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর র্যাব-২ এ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। রাত সাড়ে ১১টায় হাজারীবাগ এলাকা থেকে আরজুকে আটক করে র্যাব। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে অন্য আসামিদের ধরতে হাজারীবাগের বারইখালী এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আরজুর সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে র্যাবও তাদের জবাবে পাল্টা গুলি চালায়। এর এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও আরজুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর সাড়ে ৫টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলেও জানান লে. কর্নেল মাসুদ রানা।
সূত্রঃ শীর্ষনিউজ