এই নাগরিক সংবর্ধনা তার নয়,দেশের মানুষের প্রাপ্য- প্রধানমন্ত্রী

83

জীবনে অর্জিত সকল সম্মান দেশবাসীকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই নাগরিক সংবর্ধনা তার নয়, বাংলাদেশের মানুষের প্রাপ্য।’

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জনে যোগ্য নেতৃত্ব দেওয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটি প্রধানমন্ত্রীকে এ সংবর্ধনা দেয়। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আজ যে সম্মাননা আপনারা আমাকে দিয়েছেন তা আমার প্রাপ্য না, এটার প্রাপ্য হচ্ছে বাংলার মানুষ, বাংলাদেশের জনগণ। তাই আমি এ সম্মাননা বাংলার জনগণকে উৎসর্গ করছি।’

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর যোগদানের পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।

১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চুক্তি হওয়ার প্রায় ৪১ বছরের মাথায় ভারত সরকার এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। এর জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকে বিদ্রুপ করে বলেছিল- স্বাধীন হলে বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু আমি বলতে চাই- বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। সেই ঝুড়ি এখন উন্নয়নে ভরপুর। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে ভরপুর একটি রাষ্ট্র।’

দেশের সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নীতি হচ্ছে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ। সেই গ্রামের অবহেলিত মানুষটিরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তার সেই অধিকার রক্ষাই আমাদের লক্ষ্য। স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। প্রতিটি মানুষ তার অধিকার পাবে।’

তিনি বলেন, ‘একটি জাতির জীবনে কোনো দিকদর্শন না থাকলে সে জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য রূপকল্প ঘোষণা করেছি। এখন তা বাস্তবায়নে কাজ করছি।’

দারিদ্র্যই বাংলাদেশের একমাত্র শত্রু- একথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দারিদ্র্য থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে।’

দেশের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সরকার দারিদ্র্য নির্মূলে সফল হবে বলে আশাবাদও ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাগরিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিভিন্ন অর্জন সম্পর্কে বক্তব্য দেন।