মহাসড়কে অটোরিকশা নিষিদ্ধ

23

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অটোরিকশাই দুর্ঘটনার মূল কারণ। সড়ক দুর্ঘটনা আর না ঘটুক সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান।

এবারের ঈদে সড়কের কোনো ত্রুটি ছিল না। চালকদের দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল আর ওভারটেকিংয়ের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বুধবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ঈদে ঘরমুখো এবং কর্মস্থলমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে গঠিত মনিটরিং টিমের কার্যক্রম পর্যালোচনা সভা’ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এবারের ঈদে ঘরমুখো এবং ঢাকায় কর্মমুখী মানুষ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ছিল অধিক স্বস্তির। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের নিবিড় মনিটরিংয়ে মানুষ নিরাপদে ঈদ-উদযাপন করে ফিরে আসতে পারায় আমরা আনন্দিত।

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২ মাসের মধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আদলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের দুর্ঘটনা কবলিত চারটি স্থানে ডিভাইডার (নিউ আরসি বেরিয়ার) তৈরি করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ঈদের আগের দিন টাঙ্গাইল সড়কে আটটি ফিটনেসবিহীন যানবাহন অকেজো হয়ে পড়লে সেখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। গণমাধ্যমে খবর পেয়ে আমি দ্রুত ছুটে যাই। চন্দ্রা মোড় থেকেই যোগাযোগ করি এবং যানবাহন কমিয়ে আনার চেষ্টা করি। দুপুর নাগাদ যানজট কমে আসে। এছাড়া দেশের সকল-মহাসড়ক ছিল নির্বিঘ্ন। যাত্রীরা অধিকতর স্বস্তি নিয়ে বাড়ি যেতে পেরেছে এবং কর্মস্থলে ফিরে আসছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

সরকার ধাপে ধাপে দেশের সকল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী সেপ্টেম্বরে জয়দেবপুর হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। পরবর্তী পর্যাযে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে বনপাড়া-হাটি কমরুল সড়কও চার লেনে উন্নীত করা হবে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের অর্থনীতির লাইফ-লাইন। ইতোমধ্যে এ সড়কে চারলেনে উন্নীতকরণের ১৪৩ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি ৬ লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান মন্ত্রী। জাইকার অর্থায়নে এ মহাসড়কে ২য় কাঁচপুর সেতু, ২য় মেঘনা সেতু ও ২য় গোমতি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী আরো জানান, ইতোমধ্যে দরপত্র আহবানসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে সেতু তিনটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এবারের ঈদের ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী ঈদে কাজে লাগাতে চাই। আসন্ন ঈদ-উল-আযহার প্রস্তুতিও আমরা শুরু করেছি। আঞ্চলিক সড়কের পাশে গরুর হাট যাতে না বলে সে ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেছি।