বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে

21

বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে। আগামী কাউন্সিলের পর বাদ পড়তে পারেন স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অনেক বড় নেতা। বিগত আন্দোলনের ভূমিকা মূল্যায়নের ভিত্তিতে জায়গা দেওয়া হবে নতুনদের। তবে কাউন্সিল করতে অন্তত ছয় মাস লাগবে। দলের সিনিয়র নেতারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল বিএনপির। এর পর প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে আর কাউন্সিল হয়নি দলটির। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নিয়েই সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে বিএনপির। তবে দুই দফা আন্দোলনের ফল মূল্যায়ন করে এবার দল পুনর্গঠনের কথা বলা হচ্ছে একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকেই।
সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘দলের প্রতি নিবেদিত, দলের সঙ্গে বেইমানি করেনি, করবে না, তাঁদেরই এবার আমরা বিভিন্ন জায়গায় নেব। তাঁদের সম্মানিত করতে চাই।’

বিএনপির সিনিয়র নেতারা মনে করছেন, কাউন্সিল করতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ‘একটি জাতীয় কাউন্সিল করতে গেলে ন্যূনতম ছয় মাস সময় লাগে এর প্রস্তুতিতে। আর জাতীয় নির্বাহী কমিটির বহু সদস্য আত্মগোপনে অথবা কারাগারে আছেন।’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারের অগণতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে যে বাস্তবতা বিদ্যমান, যদি সেটা না বদলায়, তাহলে শিগগিরই কাউন্সিল করা মুশকিল হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘অনেক সদস্য বর্তমানে নেই। এঁদের বাদ দিয়ে কাউন্সিল করা এটা একটা আনুষ্ঠানিকতা হবে। কিন্তু যে কারণে আসলে কাউন্সিল করা হয়, সেটা ওইভাবে হয় না।’

দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে একক এখতিয়ার রয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনের। কাউন্সিলের পরই এসব পদে পরিবর্তনের রীতি চলে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্যরা। তাঁরা জানান, কাউন্সিল যখনই হোক না কেন, দলে আমূল পরিবর্তন আসছে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক লে. জে. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘দল পুনর্গঠন করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, দলের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব আনতে হবে। যে নেতৃত্ব আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবে।’

এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে এমন বেশ কিছু সদস্য আছেন, যাঁরা বছরের পর বছর দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁদের রেখে আগামী দিনে সক্রিয় রাজনীতিতে কোনো কাজ হবে বলে আমি মনে করি না।’

দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, দল গুছিয়ে জাতীয় নির্বাচনে দাবি আদায়ে আবারো মাঠের রাজনীতিতে সরব হতে চায় বিএনপি।