বৃহস্পতিবার কফিন মিছিল, শুক্রবার সংহতি সমাবেশ

101

আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শাহবাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে কফিন মিছিল এবং শুক্রবার বিকেল ৩টায় সকল পেশাজীবীর অংশগ্রহণে বিপ্লবী চিন্তার সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
রাজধানীর শাহবাগে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গণজাগরণ মঞ্চের (একাংশ) মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
এর আগে রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের জাগৃতি প্রকাশনার প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা এবং লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনায় ঢুকে প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ দুজনকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে হরতাল ডাকে গণজাগরণ মঞ্চ।
ইমরান সরকার বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ হরতাল পালন করেছে। বরিশাল ও রাজবাড়ীতে আমাদের কর্মীদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। সে বাধা অতিক্রম করে তারা হরতাল পালন করেছে। সারাদেশে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ব্লগাররা নয়, পীর ও ধর্ম যারা প্রচার করেন তারাও উগ্রপন্থিদের টার্গেট হচ্ছেন। তাদের মতাদর্শের সঙ্গে যাদের মিলছে না তাদের উপরই হামলা করা হচ্ছে। আমাদের লড়াই শুভ-অশুভের লড়াই। এ লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে।’
পরে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে শাহবাগ মোড় থেকে বাংলামোটর হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগের মোড় ছেড়ে দেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। পরে যানবাহন চলাচল শুরু করে।
রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে শনিবার বিকেলে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দীপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে। একই সময় মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার সি ব্লকের ৮/১৩ নম্বর বাসায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলায় গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক ও ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিম গুরুতর আহত হন। পরে দুর্বৃত্তরা কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিকেলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই প্রকাশনা দুটি থেকে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার নিহত অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করা হয়েছিল।