শেখ ফজলুল হক মনি : যুবসমাজের আইকন

211
শেখ ফজলুল হক মনি

শেখ ফজলুল হক মনি কিংবদন্তি তরুণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতায় অম্লান ও অক্ষয় অনন্য নাম। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তারুণ্যের উজ্জ্বলতম এই নক্ষত্র ছিলেন অসাধারণ রাজনীতিক। সময়ের চেয়েও প্রাগ্রসর দেশখ্যাত সাহসী সাংবাদিক। চতুর্মুখী প্রতিভাবান এই যুবনেতা একজন অকুতোভয় জাতীয় বীর। হার না-মানা এক যোদ্ধা। বাংলাদেশের যুব রাজনীতির পথিকৃৎ। যুব রাজনীতির মুকুটবিহীন সম্রাট। যুব রাজনীতির অনিঃশেষ প্রেরণার উৎস। কল্যাণমূলক যুব রাজনীতির মহানায়ক। সৃষ্টিশীল যুব রাজনীতির এই স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন মেধা-মনন ও সৃজনশীলতায় অনন্য। অন্ধকারেও আলোর বিচ্ছুরণ। বহুমাত্রিক প্রতিভার এক অসাধারণ মিশেল ঘটেছিল তার ব্যক্তিত্বে।

কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন সমসাময়িকদের থেকে অনন্য উচ্চতায়। রাজনৈতিক বুদ্ধিদীপ্ততা ও প্রখর দূরদর্শিতার জন্য ছিলেন সমসাময়িক অনেকের চেয়েই অগ্রসর। তিনি ছিলেন মেধাবী ছাত্রনেতা, শ্রমিক নেতা, যুব নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুজিব বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা, সংবাদপত্রের প্রকাশক, কলামিস্ট, তুখোড় বক্তা, প্রখর ধীশক্তি ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। শেখ মনি অকালে ঝরে পড়া উজ্জ্বল নক্ষত্র। মাত্র ৩৫ বছরের আয়ুষ্কালে হয়ে আছেন কিংবদন্তি, ইতিহাসের অংশ আর গবেষণার প্রতিপাদ্য। তিনি এমনই এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি নেতৃত্ব গুণাবলি, রাজনৈতিক দৃঢ়তা, মননশীল প্রতিভা দিয়ে স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল হয়ে আছেন।

তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে। বঙ্গবন্ধুর সব থেকে প্রিয় রাজনৈতিক শিষ্য। তার রাজনৈতিক জীবন ছিল সরাসরি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় পরিচালিত। বঙ্গবন্ধু তাকে ভবিষ্যত নেতৃত্বের জন্য নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই শেখ মনির আদর্শ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। শেখ মনি বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। তার চোখের ভাষা সহজেই বুঝতে পারতেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই শেখ মনি রাজনীতির প্রতি আগ্রহী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু এ কারণেই ভাগ্নেকে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। বঙ্গবন্ধু ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থের ২০২, ২১০, ২১৩, ২২৩, ২৩৫, ২৪০, ২৪৮, এবং ২৬৩ নং পৃষ্ঠায় বিভিন্ন প্রসঙ্গে শেখ ফজলুল হক মণি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে অনেক স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু ও শেখ মনির সম্পর্ক শুধু রক্তের বন্ধন দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না। সেই সম্পর্ক ছিল অন্তরাত্মার।

এই বিস্ময় যুবক আত্মপ্রত্যয়ী যুবকদের মানবিক পাঠশালা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। স্বচ্ছ রাজনৈতিক কর্মপরিধিতে যুবসমাজের অংশগ্রহণের ব্রত নিয়ে ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে দেশের প্রথম যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন। তিনি তার দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন যুদ্ধ ফেরত প্রশিক্ষিত যুবক ও সদ্য সাবেক তরুণ ছাত্রদের সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে না নিয়ে আসলে তারা বিপথগামী হয়ে যেতে পারে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত ও মুজিব ভাবাদর্শের সংগঠনটি আন্দোলন-সংগ্রামের সিঁড়ি বেয়ে বর্তমানে উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ যুব সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ নির্বাচিত হন। তার ছোট ছেলে শেখ ফজলে নূর তাপস বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিমও যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারও নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন, বিশ্বের সব দেশের যুবসমাজের জন্য একটি আইডল।

মনি ছিলেন- বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি ও স্বাধীকার আন্দোলনের নক্ষত্র। বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী যুবনেতা। তিনি ছিলেন বিপ্লবী। ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৬০-১৯৬৩ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় তিনি গ্রেফতার হন এবং ছয় মাস কারাভোগ করেন। উত্তাল সেই আন্দোলন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্মৃতি কথায় বলেন, ‘মনে পড়ে ১৯৬২ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। মনি ভাই এই বাড়ি থেকে নির্দেশ নিয়ে যেতেন, পরামর্শ নিতেন। ১৯৬২ সালে আব্বা গ্রেফতার হন। তখনকার কথা মনে পড়ে খুব।’

ষাটের দশকের গোড়া থেকেই মনি নিজের মেধা ও অসাধারণ সাংগঠনিক ক্ষমতা বলে দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের কাছে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৬৪ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর আবদুল মোনেম খানের নিকট থেকে সনদপত্র গ্রহণে তিনি অস্বীকৃতি জানান এবং সরকারের গণবিরোধী শিক্ষানীতির প্রতিবাদে সমাবর্তন বর্জন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ডিগ্রি প্রত্যাহার করে নেয়। পরবর্তী সময়ে তিনি মামলায় জয়লাভ করে ডিগ্রি ফিরে পান। ১৯৬৫ সালে তিনি পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন এবং দেড় বছর কারাভোগ করেন। তার রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জে ও কৃতিত্ব ১৯৬৬ সালের ৭ জুনে ৬ দফার পক্ষে হরতাল সফল করে তোলা। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে এই অগ্রণী ভূমিকা পালনের দায়ে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয় এবং তিনি কারারুদ্ধ হন। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের সময় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের কর্মসূচি প্রণয়নের অন্যতম প্রণেতা।

তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের জন্য গোটা বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রাখেন তিনি। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম প্রধান গেরিলা বাহিনী মুজিব বাহিনী তার নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত এবং পরিচালিত হয়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে গঠিত প্রায় পাঁচ হাজার সদস্যের এ বাহিনীকে চারটি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং এর নেতৃত্বে ছিল ১৯ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমান্ড। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স তথা মুজিব বাহিনীটির প্রধান কমান্ডার বা অধিনায়ক হিসেবে তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামে হানাদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।

শেখ ফজলুল হক মণি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্ভাসিত বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক। বাগ্মিতা ও লেখালেখিতে তিনি ছিলেন অনন্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তৃতা করতেন অনায়াসে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই ছিলেন সমান পারদর্শী। সে সময়ের তুখোড় বক্তারাও তার বক্তব্যের প্রশংসা না করে পারতেন না। স্বাধীনতা উত্তর সরকারের আমলাদের গৃহীত বিভিন্ন অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক নীতির প্রতি কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতেন। তার তীক্ষè দৃষ্টি ও মনোভাব প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ বাহন ছিল বাংলার বাণী ও আওয়ামী যুব লীগ। রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি নিয়ে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতেন যা সরকারকে নীতিনির্ধারণে প্রভাবিত করতো।

দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক বাংলার বাণী পত্রিকা জাতীয় দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। ১৯৭৩ সালের ২৩ আগস্ট তিনি সাপ্তাহিক বিনোদন ম্যাগাজিন সিনেমা প্রকাশ করেন। ১৯৭৪ সালের ৭ জুন তার সম্পাদনায় ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সময়ে তিনি ‘দৈনিক ইত্তেফাক’, ‘দি পিপলস’ও ‘দৈনিক বাংলার বাণী’তে নিয়মিত কলাম লিখতেন। কলামগুলোতে অত্যন্ত সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় তার নিজস্ব অভিমত, চিন্তা, চেতনা প্রকাশ করতেন। তিনি বাংলার বাণীতে ‘দূরবীনে দূরদর্শী’ নামে কলাম লিখতেন। মৃত্যুপরবর্তী সময়ে তার লেখা কলামগুলোকে সংগ্রহ করে আগামী প্রকাশনী প্রকাশ করেছে ‘দূরবীনে দূরদর্শী’ নামক গ্রন্থ। তার রচিত গল্পের সংকলন ‘বৃত্ত’ ১৯৬৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে সংকলনটি প্রকাশিত হয় ‘গীতারায়’ নামে। এ সংকলনের ‘অবাঞ্ছিত’ গল্পটি পাঠক সমাদৃত, যা নিয়ে টেলিফিল্মও হয়েছে। শিশু-কিশোরদের সংগঠন শাপলা কুঁড়ির আসরেরও তিনি প্রতিষ্ঠাতা।

তার লেখার প্রাঞ্জলতা ও গতিময়তা প্রশংসানীয়। তার সব লেখায় সমাজ, প্রশাসন, সরকার পরিচালনা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রেখেও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, পুরনো আমলাতন্ত্র ইত্যাদি ব্যাপারে তার অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা পরিস্ফুট হয়েছে। সাহিত্য এবং সংবাদপত্র জগতেও দূরদর্শী এই ব্যক্তিত্ব ছিলেন নিজস্বতায় ভাস্বর। ছিলেন সাংবাদিক, কবি, ছোট গল্পকার ও বাঙালি সংস্কৃতির একনিষ্ঠ ধারক। দেশে প্রথম জার্মানি থেকে গজ অফসেট প্রিন্টিং মেশিন আমদানির ব্যবস্থা করেন। সেটাই তখন দেশের আধুনিক প্রিন্টিং ব্যবস্থা। প্রেস, কম্পোজ, মেকাপ, ফটোগ্রাফ ও সুন্দর ছাপার বিষয়ে তার ছিল সুক্ষ্ম জ্ঞান যা নিয়ে অনেকেই নানা সময়ে গল্পে বিস্ময় প্রকাশ করতেন। তিনিই প্রথম বাংলার বাণীর ব্যানার হেডিং ও গুরুত্বপূর্ণ খবরের হেডিং লাল কালিতে ছেপেছিলেন যা নিয়ে সে সময় অনেকেই ঠাট্টা-তামাশা করেছিল। অথচ দশ পনেরো বছরের মধ্যেই সকল পত্রিকা কালার হেডিং শুরু করে। তিনি ছিলেন দূরদর্শী; সময়ের চেয়ে অগ্রসর। ছিলেন একজন আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ।

১৯৩৯ সালের ৪ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ঐতিহাসিক শেখ পরিবারে জন্ম নেন শেখ ফজলুল হক মনি। তার বাবা শেখ নূরুল হক বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও মা বঙ্গবন্ধুর বোন আছিয়া খাতুন। ছাত্র অবস্থাতেই শেখ মনি মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তিনি ঢাকা নবকুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক ও জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ১৯৬০ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬২ সালে ড. আলীম আল রাজী কলেজ থেকে তিনি আইনের উপর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ পাস করেন। শেখ মণির মতো দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা খুব কমই দেখা যায়। অথচ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে শেখ ফজলুল হক মনি এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকেও (শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের কন্যা) নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘাতকরা। ঘাতকরা জানত বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করতে হলে শেখ মনিকে আগে আঘাত করতে হবে। বিরল প্রতিভার অধিকারী এই ক্ষণজন্মা পুরুষ বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

লেখক : সভাপতি, নিউ ইয়র্ক সিটি যুবলীগ