সন্তানকে যে বয়সে আর্থিক শিক্ষা দেবেন

28

সন্তান লালন পালন মানে শুধু খাওয়া-দাওয়া আর স্কুলে পড়া নয়। এর পাশাপাশি সামাজিক বহু বিষয়ই শিশুকে শেখানো উচিত। এ লেখায় থাকছে ১১টি আর্থিক শিক্ষার কথা, যা তাকে সচেতন হয়ে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।
১. সঞ্চয় : ৪ বছর বয়সে
সন্তানকে অত্যন্ত ছোট বয়স থেকেই সঞ্চয়ের গুরুত্ব বোঝাতে হবে। এক্ষেত্রে ৪ বছর বয়স হতে পারে একটি আদর্শ বয়স।
২. বাজেট : ৮ বছর বয়সে
কঠিন কোনো বাজেট নয়, বরং সাধারণ আয় ও ব্যয়ের বিষয়টি সন্তানকে বোঝানো যায়। এক্ষেত্রে বয়স হওয়া উচিত আট বছর।
৩. ঋণ : ৮ বছর বয়সে
অনেকেই সন্তানকে ঋণ বিষয়ে কোনো জ্ঞান দেওয়ার তাগিদ অনুভব করেন না। যদিও বিষয়টি সন্তানকে শেখানো যায় আট বছর বয়স থেকেই।
৪. ইন্টারেস্ট : ৮-১০ বছর
লভ্যাংশ ও সুদ এমন দুটি জিনিস, যা ছোটবেলা থেকেই সন্তানের বোঝা উচিত। এতে ধার-কর্জের বিষয়ে সঠিক ধারণা লাভ করবে শিশু।
৫. ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড : ৮-১০ বছর
সন্তান বাবা-মায়ের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দেখে নিজেরাও তা ব্যবহারে আগ্রহী হতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের বিষয়গুলো বোঝানোর বিকল্প নেই। এ শেখানোর বয়স হতে পারে ৮-১০ বছর।
৬. ট্যাক্স : ১০ থেকে ১২ বছর
সরকার বিভিন্ন পণ্য থেকে যে ট্যাক্স বা মাশুল নেয় তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে। আর এটি সন্তানকেও শিক্ষা দেওয়া উচিত। এটি শিক্ষা দেওয়ার আদর্শ বয়স হতে পারে ১০ থেকে ১২ বছর।
৭. বিনিয়োগ : বয়স ১০ থেকে ১২ বছর
বিনিয়োগ কোনো সহজ বিষয় নয়। খুব ছোট সন্তানকে এটি বোঝাতে কিছুদিন অপেক্ষা করা উচিত। এক্ষেত্রে বয়স হতে পারে ১০ থেকে ১২ বছর।
৮. স্টক/শেয়ার : বয়স ১২+
শেয়ার বাজারের বিষয়গুলো শিশুকে শেখানোর জন্য ১২ বছর বয়সটি উপযুক্ত। তার আগে এটি শিশুর মাথায় ঢোকানোর যেমন প্রয়োজন নেই তেমন এটি তার চেয়ে বেশিদিন দেরি করাও ঠিক নয়।