তাড়াতাড়ি বিয়ে করার সুবিধা কী?

44

বিয়ের সঙ্গে দিল্লির লাড্ডুর তুলনা হরহামেশাই করেন অনেকে। দিল্লির লাড্ডু নাকি খেলেও পস্তাতে হয়, না খেলেও পস্তাতে হয়। যদিও অনেকেই বিয়েকে অতিমাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে একাধিক পরিণয়ে আবদ্ধ হতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। গ্রামের অশিক্ষিত মোড়ল বা মাতুব্বর গোছের লোক, দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ, এমনকি কিছু কিছু শিক্ষিত প্রতারক গোছের মানুষের মধ্যেও একাধিক বিয়ে করার প্রবণতা দেখা যায়। আবার এ প্রজন্মের শহুরে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে দেখা যায় ঠিক এর উল্টোটা।
বিয়ের কথা শোনা মাত্রই তাদের নাক সিঁটকানো শুরু হয়। তারা এটাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হওয়া মনে করে। তবে গবেষণা বলছে, বিয়ের লাড্ডু না কি যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় ততই মঙ্গল। এতে যেমন নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াও গড়ে ওঠে, তেমনই দাম্পত্য জীবনটাকে অনেক বেশি উপভোগও করা যায়। ভবিষ্যৎটাকেও সাজানো যায় পরিকল্পনামাফিক। তাই তাড়াতাড়ি বিয়ের সিদ্ধান্ত আসলে খুবই ভাল। কেন?

১) বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিয়ের সময় উপস্থিত হলেই মনের ভিতরে দ্বন্দ্বের উদ্ভব হয়। মনে হয় ঠিক করছি তো? এটা বেশি তাঁদের ক্ষেত্রেই হয় যাঁরা প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত জীবনটাকে গুছিয়ে নিতে যত আগে কাজ শুরু করা যায় ততোই মঙ্গল নয়কি? আর বিয়েটা তো এসব কাজের মধ্যে অন্যতম।

২) তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে মেয়েদের উপরে মা হওয়ার চাপও থাকে না। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা, স্কুল এই সব নিয়ে প্রথম থেকেই ভাবতে হবে না। চুটিয়ে বেড়াতে পারবেন। প্রেম করতে পারবেন।

৩) কম বয়সে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়াটাও অনেক সহজ হবে। মানিয়ে নেওয়ার সময়টাও বেশি পাবেন।

৪) সব কিছুর পরেও আপনি পড়াশোনা করে নিজের কেরিয়ারের দিকে মন দিতে পারবেন। সংসার এবং কর্মক্ষেত্র— দু’দিকেই সমান তালে নজর রাখতে পারবেন।

৫) কম বয়সী অভিভাবকেরা সন্তানের অনেক বেশি কাছের হয়। ছেলে-মেয়েরা তাদের বাবা-মার সঙ্গে অনেক সহজে মিশে যেতে পারে। তাতে ছেলে মেয়েদের উপরে নজর রাখাও হয়ে যায় অনেক সহজ।

৬) বয়স বেশি হয়ে গেলে অনেক নারীই সন্তান ধারণে জটিলতায় পড়েন। এক্ষেত্রে গর্ভধারণে সমস্যা হয়, আবার গর্ভধারণ হলেও তা অনেক সময় স্থায়ী হয় না।

৭) তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে সন্তানকে বড় করে প্রতিষ্ঠিত করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। না হলে সন্তান স্কুল পার হওয়ার আগেই বাবা-মায়ের দুনিয়া পার হয়ে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৮) এছাড়া একজন চুলসাদা বয়স্ক মানুষ ছয় বছরের ছেলের হাত ধরে বের হলে যে কেউ নানা-নাতি মনে করে ভুল করতেই পারে।

৯) আগে বিয়ে করলে আপনার কাছে এসে কেউ ‘কেন বিয়ে করছ না’, ‘কবে বিয়ে করবে’, ‘বয়স বেড়ে যাচ্ছে’, ‘কাউকে পছন্দ কর কি’ ইত্যাদি বিরক্তিকর কথা শোনার হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।