জেনে নিন খাঁটি ঘি এর স্বাস্থ্যকথা

47

ঘিয়ের গন্ধে যেকোনো খাবার মুখরোচক হয়ে ওঠে। বিশেষ করে খাঁটি ঘি এর কদর বলে বোঝানো যাবে না। তবে অনেকে ঘি-কে অস্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে চিহ্নিত করেন। তবে অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, কয়েকভাবে খাঁটি ঘি-কে স্বাস্থ্যকর বলে প্রমাণ করা যায়। মূলত খাঁটি ঘি সেইসব ফ্যাটি এসিড অথবা স্যাটুরড ফ্যাট ধারণ করে যাতে প্রাথমিকভাবে ৮৯ শতাংশ শর্ট চেইন ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এই ঘি এর নানা বিষয় জেনে নিন। তবে মনে রাখবেন, এখানে সেই ঘি এর স্বাস্থ্যকর বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যা সাধারণত বাড়িতে প্রস্তুত করা হয় এবং এতে শূন্য শতাংশ প্রিজারভেটিব রয়েছে।

ঘি এর অস্বাস্থ্যকর বিষয় তুলে ধরার আগে জেনে নিন, খাঁটি ঘি স্বাস্থ্যকর তখনই বিবেচিত হয় যখন নিচের শর্তগুলো পূরণ হবে। এগুলো মৌলিক শর্ত বলে মনে করতে পারেন।

১. কার্ডিওভাসকুলার অসুখ না থাকলে খাঁটি ঘি স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী এবং এতে ওজন বাড়ে না।

২. আপনার দেহ স্থূল হলে অবশ্যই ঘি এড়িয়ে চলা উত্তম।

৩. একজন মানুষ সারাদিনে ১০-১৫ গ্রাম ফ্যাট গ্রহণ করতে পারেন।

প্রতিদিন খাঁটি ঘি খেলে দৈহিক এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই ঘি দেহের ভেজাল দূর করতেও সহায়তা করে। আসল ঘি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেশিকে সুগঠিত ও সুস্থ রাখে। যাদের দেহে কোলেস্টরেল সমস্যা রয়েছে তারা মাখন বা অন্যান্য ফ্যাটের পরিবর্তে ঘি-কে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবার হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন। করণ ঘি এর ফ্যাট সহজে হজমযোগ্য।

তা ছাড়া ঘি দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। একে রেফ্রিজারেশন ছাড়াও সংরক্ষণ করা যায়। এতে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ঘি এর ফ্যাট দেহের অন্যান্য ফ্যাট মলিকিউল দ্বারা হজম হয়। এতে ভিটামিনসমূহ রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কার্য সম্পাদনের জন্যে যে উপাদান প্রয়োজন তা সরবরাহ করে ঘি। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস