স্মৃতিশক্তি উন্নত করার কয়েকটি কৌশল

996
কিভাবে স্মৃতিকে উন্নত করা যায়

মানুষের অতীত কোনো কিছু দেখা, অভিজ্ঞতা, এবং শিক্ষা এর স্মরণ যোগ্যতাকেই স্মৃতি বলে। অতীত ঘটনা সমূহকে যে যত বেশি স্মরণ রাখতে পারে তার স্মৃতি শক্তি তত বেশি প্রখর। বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ এই স্মৃতি শক্তি উন্নত করার জন্য অনেক গবেষণা চালিয়েছেন। চলুন আজ বিভিন্ন গবেষণার আলোকে ও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জেনে নিন স্মৃতি শক্তি উন্নত করার কয়েকটি কার্যকরী কৌশল।

স্মৃতিশক্তি উন্নত করার কয়েকটি কার্যকরী কৌশল

কিভাবে স্মৃতিকে উন্নত করা যায় -এ নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। সেসব গবেষণার আলোকে কিছু কৌশল নিচে দেয়া হলো-

১। রবিবসন এর নিয়ম

মনোবিজ্ঞানী রবিবসন স্মৃতিকে উন্নত করার জন্য ‘survey Q-3r’ এর আবিষ্কার করেন। যার মানে হচ্ছে- Question=প্রশ্ন কর, Read= পড়, Recite= আবৃত্তি কর Review= পুনরায় স্মরণ কর।

এটি মেনে চললে মানুষের স্মৃতি শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।

২। গভীর মনোযোগ

গভীর মনোযোগ হলো স্মৃতি উন্নত করার একটি কৌশল। যে কোনো বিষয়বস্তু গভীরভাবে মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করলে তা আয়ত্ব করা যে কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব।

৩। নিয়মিত অধ্যয়ন

নিয়মিত অধ্যয়ন করলে যেকোনো বিষয় সহজেই স্মরণযোগ্য হয়। ফলে স্মৃতি উন্নত ও সমৃদ্ধ হয়।

৪। সম্পূর্ণ ও অর্থপূর্ণ শিক্ষা

অসম্পূর্ণ শিক্ষা বিস্মৃতির অন্যতম কারণ। সম্পূর্ণ ও অর্থপূর্ণ শিক্ষালাভের মাধ্যমে স্মরণ শক্তি (Memory Power) বাড়াতে পারেন।

৫। সংকল্প

কোনো কিছু শিক্ষা করার সংকল্প (Determination) নিলে তা সহজে আয়ত্বে আসে। ফলে স্মৃতি উন্নত ও সমৃদ্ধ হয়।

৬। অনুশীলন

মনোবিজ্ঞানী ‘Stout’-এর মতে, ‘অনুশীলন -এর মাধ্যমে স্মৃতি শক্তির উন্নয়ন ঘটে’।

৭। চিত্ত বিনোদন

চিত্ত বিনোদন যেমন-গান,খেলা, টিভি দেখা, ইন্টারনেট চালনা করা ইত্যাদি স্মৃতিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। কারণ একটানা কোনো কিছু করলে ক্লান্তি ও অবসাদ আসে যা বিস্মৃতি শক্তি (Forgetting power)- কে বাড়িয়ে দেয়।

৮। ধ্যান

ধ্যান -এর মাধ্যমে মানুষ তার মস্তিষ্কের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। ফলে ধ্যান স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার একটি পরীক্ষিত কৌশল। তাছাড়া নিয়মিত ধ্যান মানুষের মস্তিষ্ককেও শীতল রাখে ফলে কোনোকিছু মনে রাখা সহজ হয়ে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here