যুবলীগ সম্পাদকসহ ৮০ স্কোয়াড বাহিনীর ৬ ক্যাডারকে গণধোলাই

21

স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে ধরে নিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ায় ময়মনসিংহে সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব:) মুজিবুর রহমান ফকিরের ৮০ স্কোয়াড বাহিনীর প্রধান ও গৌরীপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন আজাদ লিটনসহ ৬ ক্যাডারকে গণধোলাই দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার রামগোপালপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে জনমোনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, কোন মামলা না থাকার পরেও ব্যক্তিগত আক্রোশের জের ধরে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব:) মুজিবুর রহমান ফকিরের নির্দেশে তার নিজস্ব ৮০ স্কোয়াড বাহিনীর ১০ থেকে ১২ জন ক্যাডার ও গৌরীপুর থানা পুলিশ একসঙ্গে একই উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা জালাল আহমেদকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জালাল অনুসারী বিএনপি নেতা-কর্মী ও উত্তেজিত জনতা স্কোয়াড বাহিনীর ক্যাডারদের হামলা করে ব্যাপক মারপিট করে।

এতে ৮০ স্কোয়াড বাহিনীর প্রধান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন আজাদ লিটন, যুবলীগ নেতা জুয়েল, রজব, আলম, মুস্তাকিম ও শফিউল আহত হন। তাদের মধ্যে মারাত্মক আহত লিটন, মুস্তাকিম ও শফিউলকে প্রথমে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আর রজব ও জুয়েলকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, আটককৃত জালালের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৮০ স্কোয়াড বাহিনীর ৬ ক্যাডারকে কারা মারপিট করেছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমি অন্ধকারে আছি।

তবে স্থানীয় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন জুয়েল দাবি করেন, স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা যুবলীগ নেতাদের মারপিট করেছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

এ অভিযোগ অস্বীকার করেন সাময়িক বরখাস্তকৃত গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান আহমেদ তায়েবুর রহমান হিরণ বলেন, উত্তেজিত নারী-পুরুষ একজোট হয়ে এমপি’র ক্যাডারদের গণধোলাই দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এমপি মুজিবের এ স্কোয়াড বাহিনীর সদস্যরা সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলাজুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইতোমধ্যে এ ক্যাডার বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন কেউ না কেউ। গত শুক্রবার ১ নং মইলাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মালেক মাষ্টারের গোবিন্দপুর বাজারস্থ দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এ চিহ্নিত ক্যাডাররা। এছাড়াও গত রোববার উপজেলার গুজিখা এলাকায় বিএনপি নেতা আলী আকবর আনিসের ইটভাটায় হামলা ভাংচুর করে। এ সময় তার ভাতিজা জনিকে কুপিয়ে আহত করে ওই ক্যাডাররা।