ঘটনার একদিন পরও বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট তাহমিদ রুম্মান চৌধুরী ও বিমানের ককপিটের খোঁজ মেলেনি। তবে উত্তাল সাগরে এখনো উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা।
গতকাল সোমবার এফ-৭ যুদ্ধবিমানটি বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বেলা ১১টায় টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর ও পতেঙ্গা এলাকা থেকে ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে সাগরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় প্রশিক্ষণ বিমানের একমাত্র পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ রুম্মান পানিতে তলিয়ে যান। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষের তিনটি অংশ উদ্ধার করা হয়। তবে পাইলটের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে বিমান ও নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সাগরে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) জাফর আলম জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট তাহমিদ ও বিধ্বস্ত বিমানের ককপিট উদ্ধারে বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ কাণ্ডারী-১০, তেল অপসারণকারী জাহাজ বে ক্লিনার এবং অ্যাম্বুলেন্স শিপ সাগরে তল্লাশি চালাচ্ছে। এ দিকে, তাহমিদের চাচাতো ভাই সাইদুজ্জামান অভি জানিয়েছেন, ঘটনার পর তাঁর চাচা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কাদের চৌধুরী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছেন। বড় ছেলেকে হারানোর শোকে তাহমিদের মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি। প্রিয় সন্তানকে জীবিত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিলেও অন্তত লাশ যেন দেখতে পান, সেই আশায় বুক বেঁধে আছেন তাঁরা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.