জাতীয় মহাসড়কগুলোকে টোলের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

123
মহাসড়কে টোল

পর্যায়ক্রমে দেশে জাতীয় মহাসড়ককে টোলের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে সংবাদিকদের অবহিত করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-উত্তরবঙ্গসহ দেশের সব বড় বড় মহাসড়ক ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টোল আদায় করা হবে।  টোলের একটা অংশ সরকারি তহবিলে জমা হবে। বাকি অংশ দিয়ে একটি রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল গঠন করা হবে। এ তহবিলের অর্থায়নে দেশের সব সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং অন্যান্য মন্ত্রী ও সচিবরা শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে একনেক সভায় অংশ নেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যাদের টাকা আছে, তারা অনেক সময় ক্ষমতা বলে টোল দেয় না। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, ২১০ কিলোমিটারের  সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৬৯১৮ কোটি টাকা । প্রকল্পের আওতায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে সড়ক হবে চার লেন উন্নীত করা হবে। ধীর গতির যানের জন্য আলাদা দুটি লেন রাখা হবে। এটি মূলত ছয় লেনের সড়ক হবে এটি।

এ সড়ক উন্নয়নে ১৩২৪৪ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

ভারত, বাংলাদেশসহ ছয় দেশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (সাসেক) বাড়াতে সরাসরি সড়ক অবকাঠামো তৈরির উদ্দেশ্যে ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করছে সরকার।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, পূর্ব দিকের দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  এর মাধ্যমে মিয়ারমার, ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা সহজ হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, দেশের সড়ক পরিবহন নেটওয়ার্ক যথাযথ মানে উন্নীত করে এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক, বিমসটেক করিডোর, সার্ক করিডোরসহ আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্তির মাধ্যমে শিল্প ও বাণিজ্যে গতিশীলতা আনাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের এ মহাসড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।