কারও চেহারা দেখে ছাড় দেয়া হবে না: সিইসি

12

ভোটকেন্দ্রে যাতে কোনো ‘বেআইনি কাজ’ না হয়, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ।

সেই সঙ্গে ভোটে পেশীশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে প্রার্থীদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে যা যা করা দরকার তার সবই ইসি করবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন, তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।

প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার এবং নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে কাজী রকিব বলেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট করার ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠা করুন।”

সেই সঙ্গে প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে ‘নিরপেক্ষতা’ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “কারও চেহারা দেখে কোনও ধরনের ছাড় দেবেন না। কোনো বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।”

সিইসি বলেন, “সবাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। ভোটকেন্দ্র সুরক্ষিত রাখুন। সেখানে যাতে কোনো বেআইনি কাজ করতে দেওয়া না হয়। কোনোভাবে ভোটকেন্দ্রে বেআইনি কাজ করতে দেওয়া হবে না।”

ভোটে কালো টাকা ও পেশি শক্তির প্রভাব কাজ করছে- কয়েকজন প্রার্থীর এমন অভিযোগের পর সিইসি বলেন, “কালো টাকা ও পেশি শক্তির ব্যবহার নির্বাচনে বন্ধ হোক। এ ধরনের কোনো তথ্য আপনারা পেলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানান। রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশকে জানান। সুনির্দিষ্ট তথ্য দিন, আমরা ব্যবস্থা নেব।”

হলফনামায় তথ্য গোপন করে বা অসত্য তথ্য দিয়ে কেউ পার পাবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ার করেন।

“তথ্য গোপন বা মিথ্য তথ্য দিলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ধরনের কাজ করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কারও মুখ চেয়ে ছেড়ে দেব না। ভবিষ্যতেও প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।”

এর আগে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে পাঁচ ধাপে উপজেলা ভোটের সময়ও ভোটকেন্দ্র দখলসহ নানা অভিযোগও উঠেছিল।

আর এবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট হচ্ছে ২৮ এপ্রিল, যাতে ভোট দেবেন ৬০ লাখেরও বেশি ভোটার।

শনিবার চট্টগ্রামে, রোববার ঢাকা উত্তরে মত বিনিময়ের পর সোমবার ঢাকা দক্ষিণের মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদের প্রায় পাঁচশ প্রার্থীর সঙ্গে ইসির এই মতবিনিময় হয়।

চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকার পুলিশ কমিশনার ও দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা ফার্মগেইটের কেআইবি কমপ্লেক্সে এই মতবিনিময়ে অংশ নেন।

আগামী ১৯ এপ্রিল আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবে কমিশন। ওই বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেনা মোতায়েন হবে কি-না সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সিইসি।