পুলিশকে অস্ত্র পকেটে রাখার জন্য দেওয়া হয়নি : প্রধানমন্ত্রী

70
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে উদ্বেগের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ যা করছে আইনের মধ্যে করছে। তাদের সেভাবেই বলা আছে। পুলিশকে অস্ত্র পকেটে রাখার জন্য দেয়া হয়নি।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্টদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে আমাদের যতটুকু এগোনোর কথা ততটুকু এগোতে পারিনি। আমরা পিছিয়েছি। কারণ যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করার পর এক পক্ষ ষড়যন্ত্র করে। তারা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। পঁচাত্তরের পর কেবল দেশ পিছিয়েছে। একের পর এক ষড়যন্ত্র হয়েছে। একের পর এক ক্যু হয়েছে।

লিবিয়ার গাদ্দাফি, ইরাকের সাদ্দাম, আল-কায়েদার লাদেনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের কারা সৃষ্টি করেছে, কীভাবে মারা হয়েছে তা মানুষ জানে। সেগুলো তারা (পশ্চিমা দেশ ও সংস্থা) মানবাধিবার লঙ্ঘন বলে মনে করেনি। বাংলাদেশে অপরাধী মারা গেলেই মানবাধিকার নিয়ে চিৎকার শুরু করে তারা।

পশ্চিমা দেশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরপরাধ মানুষ মারা গেলে তাদের জন্য দুঃখ হয় না, যারা অপরাধী তারা কেন মারা গেল, তা নিয়ে তাদের দুঃখ।

তিনি আরো বলেন, একজন অপরাধীকে মেরে ৫০টা মানুষ বাঁচানো ভালো, নাকি একজন অপরাধীর জন্য ৫০ জন মানুষ মারা ভালো। অপরাধীরা মানুষ হত্যা করবে, আগুনে পুড়ে মারবে, আর সবাই বসে বসে দেখবে, তা তো হবে না।

পুলিশকে অপরাধী দমনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রসফায়ারে মানুষ মরলে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা হয়। পুলিশ তো আইনের মধ্যে সব করছে। আমরা সেভাবেই নির্দেশ দিয়েছি। অস্ত্র তো পকেটে রাখার জন্য না, অপরাধীদের দমনের জন্য অস্ত্র দেওয়া হয়েছে।