অভিজিৎ হত্যার ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ’ তদন্তের দাবি তার স্ত্রীর

23

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী।

 

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ডাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় আততায়ীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন অভিজিৎ। সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত পাঠানো হয়। তারা বহুদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বসবাস করে আসছিলেন।

 

যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাধীন অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন তদন্তে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে, তখন বাংলাদেশি সরকার আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যাপারে দেওয়া ওই প্রস্তাব পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তদন্ত করছে। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জঙ্গিগোষ্ঠী হিযবুত তাহরীর সদস্য ফারাবী সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিজিৎ হত্যার জন্য শুধু ফারাবীর গ্রেফতারই পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য করেন রাফিদা।

 

টেলিফোনে নেওয়া সাক্ষাৎকারে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে রাফিদা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা তার নার্ভ ও হাতের চিকিৎসা করিয়েছেন। মাথার আঘাতের বিষয়েও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরো কিছু সময় লাগবে। মাঝে মাঝে খুব একা মনে হয়। মাথা ঘোরে এবং ঘুমাতে পারি না।’

 

তথ্যসূত্র : রয়টার্স।