তিন মাস ষড়যন্ত্র করে খালেদা ধরা খাইছেঃ মায়া।

24

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ধরা খাইছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

তিনি বলেছেন, ‘তিন মাস ষড়যন্ত্র করে সব শেষে বাংলাদেশের জনগণের কাছে খালেদা জিয়া ধরা খাইছে। বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদের সঙ্গে নাকি কথা হইছে তিনি (সালাহ উদ্দিন) ভারতে আছেন। আসলে কথা হইছে খালেদা জিয়ার সঙ্গে, কিভাবে শেখ হাসিনাকে হত্যা করা যায়। অর্থাৎ খালেদা জিয়া এখনো মিথ্যা কথা ছাড়েননি। তাই খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিৎ।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর আয়োজিত ‘১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে এক বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মায়া বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদ তিন মাস ষড়যন্ত্র করে কিভাবে ভারতে গেলেন? তারতো পাসপোর্ট নেই। এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা উচিৎ।’

এই মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবেলা করেছি। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তবে বিএনপি দেশে তৃতীয় শক্তি উত্থানের ষড়যন্ত্র এখনো করে যাচ্ছে। তাই তাদের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইতোমধ্যে আমার তিন তিনটা বিজয় অর্জন করেছি। তিনি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। স্থল সীমান্ত চুক্তি হয়েছে ও বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপসহ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাঙালি তিন কণ্যার বিজয় হয়েছে।’

মায়া জানান, ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১৬ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে বিকেল সাড়ে ৩টায় মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়াদা সাজেদা চৌধুরী।

এছাড়াও এপ্রিল ও মে মাসে তিনটি বিজয় অর্জন উপলক্ষে ২২ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এ আনন্দ মিছিলে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

এ বর্ধিত সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন নগরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, শেখ বজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ।