বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত!

37

আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার আধিক্যের নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে হিন্দু ধর্ম। অন্যদিকে, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জনসংখ্যার নিরিখে ইন্দোনেশিয়াকে ছাপিয়ে গিয়ে বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে পরিণত হবে ভারত। বিশ্বের ধর্মীয় প্রোফাইলের ও পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বে অত্যন্ত দ্রুতহারে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। যার সঙ্গে মোটামুটি সামঞ্জস্য রেখে বাড়ছে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের সংখ্যা। ভারত ইন্দোনেশিয়াকে ছাপিয়ে গিয়ে মুসলিম জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ হয়ে উঠলেও দেশে হিন্দু জনসংখ্যারই প্রাধান্য থাকবে। অন্যদিকে, আগামী ৪ দশকে বিশ্বে মুসলিমদের সংখ্যা দ্রুতহারে বাড়তে থাকলেও বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় জনসংখ্যা গঠন করবেন খ্রিস্টানরাই। ২০১০ সালে বিশ্বে খ্রিস্টান জনসংখ্যা ছিল ২.১৭ বিলিয়ন, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১.৬ বিলিয়ন। সেখানে ২০৫০ সালে বিশ্বে খ্রিস্টান জনসংখ্যা হবে ২.৯ বিলিয়ন, যা মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ। মুসলিম জনসংখ্যা হবে ২.৮ বিলিয়ন যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। যদি এই হারেই বাড়তে থাকে মুসলিম জনসংখ্যা তবে ২০৭০ সালে মুসলিমরাই হবেন বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে হিন্দুদের সংখ্যা ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এই সময়ের মধ্যে হিন্দুদের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১.৪ বিলিয়ন। যা সেই সময় বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ১৪.৯ শতাংশ। অর্থাত্‍, হিন্দুরাই হবেন ধর্মীয় প্রোফাইল অনুযায়ী জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। সেই সঙ্গেই কোনও ধর্মে বিশ্বাস না করা, অর্থাত্‍ নাস্তিক মানুষরা হবেন বিশ্বের জনসংখ্যার ১৩.২ শতাংশ। এই মুহূর্তে এরাই জনসংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। ২০১০ সালে যেখানে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ৫.৯ শতাংশ ছিলেন মুসলিমরা, সেখানে ২০৫০ সালে তারাই গঠন করবেন জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। সেইসঙ্গেই, ইমিগ্রেশনের ফল হিসেবে ২০৫০ সালে ইউরোপে হিন্দুদের সংখ্যাও হবে দ্বিগুণ। অর্থাত্‍, ২০১০ সালে যেখানে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ১.৪ মিলিয়ন, ২০৫০ সালে তা দাঁড়াবে ২.৭ মিলিয়ন। ঠিক একই ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ৪ দশকে হিন্দুদের সংখ্যা হবে দ্বিগুণ। ২০১০ সালে যা ছিল জনসংখ্যার ০.৭ শতাংশ, ২০৫০ সালে তা হবে ১.৩ শতাংশ। শুধুমাত্র চিন, জাপান ও থাইল্যান্ডের মতো দেশেই বাড়বে বৌদ্ধদের সংখ্যা। সূত্র : জি-নিউজ।