কারাগারে হামলা মামলায় মুরসির মৃত্যুদণ্ডাদেশ

8

২০১১ সালে কারাগারে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

একই মামলায় মুসলিম ব্রাদারহুডের আরও একশ’র বেশি সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। শনিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

এখন মিশরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ (গ্র্যান্ড মুফতি) এই রায়ের উপর তাদের মতামত দেবেন এবং তার ভিত্তিতে মুরসি ও তার কর্মীদের শাস্তি চূড়ান্ত হবে।

যদিও মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরা এই বিচার কে ‘প্রহসন’ বলে দাবি করেছেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের সময় পুলিশ সদস্যদের হত্যা ও অপহরণ, পুলিশের উপর হামলা এবং কারাগার ভেঙ্গে পালানোর অভিযোগে মুরসি, ব্রাদারহুড প্রধান মোহামেদ বাদেইসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করা হয়।

মুরসি ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ওয়াদি নাটরউন কারাগার থেকে পালান।

তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে মুরসি আপিল করতে পারবেন। এমনকি সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত হলেও তিনি আপিলের সুযোগ পাবেন।

এরই মধ্যে অন্য এক মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি পাওয়া মুরসি সাজা ভোগ করা শুরু করেছেন। ক্ষমতায় থাকার সময় তার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগে ওই মামলাটি হয়েছিল।

ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে মিশরের সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।

বর্তমানে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ ঘোষিত দল এবং দলটির কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মকর্তা আমর দারাগ আদালতের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমাজকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইস্তাম্বুল থেকে দারাগ রয়টার্সকে বলেন, “এটা একটি রাজনৈতিক রায়। যদি রায় কার্যকর হয়, তবে সেটা হবে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আন্তর্জাতিক সমাজের এটা বন্ধ করা উচিত।”