মাহমুদুর রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড

21

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশি বাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ রায় ঘোষণা করেন। দুদকের নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অপরাধে মাহমুদুর রহমানকে এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পর মাহমুদুর রহমানের বরাত দিয়ে তাঁর আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের কোনো নাগরিক সরকারের অন্যায় আদেশ মানতে বাধ্য নয়। এ মামলায় বাদী কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি। এরপরও বেআইনিভাবে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এক স্কাইপ কেলেঙ্কারির জন্য আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একই কাজ জনকণ্ঠ ও একাত্তর টেলিভিশন করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। তাহলে দেশে কোথায় আইনের শাসন! তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে।’
রায় প্রসঙ্গে আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি ভুল রায়। মামলাটি অন্যায়ভাবে করা হয়েছে। এ মামলায় বরং বাদীকে উল্টো শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল। তা না করে মাহমুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্যই উচ্চ আদালতে যাব।’

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, নোটিশের জবাব না দেওয়ায় আইন মেনেই মাহমুদুর রহমানকে শাস্তি দিয়েছেন আদালত।

রায়ের পরে আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সৈয়দ আফজাল আহমেদ বলেন, ‘আইনগতভাবে মামলাটি করা হয়নি। তারপরও মাহমুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে আমরা “আমার দেশ” পরিবার ক্ষুব্ধ।’

২০১০ সালের ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক মো. নূর আহাম্মদ গুলশান থানায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই মামলাটি করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (১) ধারার ক্ষমতাবলে বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের নিজ নামে, তাঁর স্ত্রীর নামে ও তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের নামে-বেনামে থাকা অর্জিত স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও ওই সম্পদ অর্জনের বিবরণী দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়। সেই আর্থিক বিবরণী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দেওয়ায় এ মামলাটি করে দুদক।

সূত্রঃ প্রথমআলো