‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় আস্থা কমেছে মানুষের’

19

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ ও এরপর উপজেলা নির্বাচনের পর সার্বিক নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা কমে গেছে বলে মনে করছে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)। তাই তারা মনে করছে, সবার আগে নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মত ব্যক্ত করে সংগঠনটি। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের পরিচালক মো. আব্দুল আলীম।

ইডব্লিউজির মতে, নির্বাচনে জনগণের হারানো বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ এবং নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রতিটি পদক্ষেপে পেশাগত আচরণ, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা দেখাতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণতন্ত্রে নির্বাচনের ভূমিকা অপরিহার্য। তাই ইডব্লিউজি সব ধরনের নির্বাচনকে স্বাগত জানায়।

তবে সংগঠনটি মনে করে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ করতে কিছু বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে: প্রার্থী ও ভোটাররা যেন নির্ভয়ে থাকতে পারে, এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপকভিত্তিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে; সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেহেতু নির্দলীয় তাই রাজনৈতিক মনোনয়ন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে; নির্বাচনসংক্রান্ত নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নারী ভোটারদের ভোট গ্রহণে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনকেন্দ্রে বাধ্যতামূলক পোলিং এজেন্ট নিয়োগসহ মোট ১১ দফা সুপারিশ করা হয়।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যযবেক্ষণের বিষয়ে ইডব্লিউজি জানায়, ঢাকা সিটি নির্বাচনে তাদের ৪৬ জন দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষক ও ভোটের দিন এক হাজার পর্যবেক্ষক কাজ করবেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে দীর্ঘমেয়াদি ২১ ও ভোটের দিন ৭০০ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা আছে তাদের।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সদস্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, তালেয়া রেহমান, কামরুল হাসান মঞ্জুর, এ এইচ এম নোমান, হারুণ অর রশিদ ও বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ২০০৬ সালে দেশের ২৮টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ইডব্লিউজি জোট গঠিত হয়।