বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে একটি দল ছিল যারা প্রতিদিন বোমা মারত, গুলি করত। তারা একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। তাদের আর খুঁজে পাওয়া গেল না। খালেদা জিয়াকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি যে পথে হাঁটছেন, সেটি রাজনীতির পথ না। তাঁকে শেষ করেছে তাঁর দুষ্টু ছেলে তারেক জিয়া, যে ফেরারি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে; যার পাসপোর্ট নেই, ভিসা নেই।
তিনি আজ শনিবার ভোলার নতুনবাজার চত্বরে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতার দাবি, সরকারের চারটি বিজয় হয়েছে। প্রথম বিজয়—খালেদা জিয়ার সন্ত্রাসী, জঙ্গি তৎপরতা ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ বানচালের বিজয়। খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল ও অসাংবিধানিক সরকার আনার জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পুলিশ হত্যা করেছেন, ৫০০ ভোটকেন্দ্র পুড়িয়েছেন, পেট্রলবোমা মেরে শিশু, গাড়ির চালক, শ্রমিক, দিনমজুর পুড়িয়ে মেরেছেন। শেখ হাসিনা দৃঢ়তা দেখিয়ে সেদিন নির্বাচন করেছিলেন। নির্বাচন না করলে ‘অসাংবিধানিক সরকার’ নামক ভাইরাস ছড়িয়ে যেত বাংলাদেশে।
তোফায়েল আহমেদের মতে দ্বিতীয় বিজয়—খালেদা জিয়া বলেছেন, নীরব বিপ্লব হবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। বেলা ১২টার আগে তাঁর প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বাসায় চলে গেলেন। কোনো একটি কেন্দ্রে নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে তা প্রমাণ করতে পারলেন না। তিনটি সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছি। তৃতীয় বিজয়—৪১ বছর পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থল সীমানার ‘মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি’-টির মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। ভারতীয় পার্লামেন্ট তা অনুমোদন করেছে। মন্ত্রীর মতে, চতুর্থ বিজয়—ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকের বিজয়।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী ছাত্রলীগের সভাপতিসহ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস।’ স্বাধীনতার বীজ রোপণের জন্যই তিনি ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ গঠন করেছেন। ছাত্রলীগকে কেউ যেন কলঙ্কিত না করতে পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.